
পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত র্পূব শত্রুতার জেরে শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোন শিক্ষিকা রোজিনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহারের (নাজমা) বিরুদ্ধে। তবে ঝগড়াঝাঁটি মিমাংসা করতে গিয়ে উল্টো হামলার স্বীকার হয়েছেন এমন দাবি করেন অভিযুক্ত মজিবুর রহমান।
১৩জুন সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের পাতাবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মেয়ে নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা’র স্বামী পেশায় মজিবুর রহমান একজন সেনা সদস্য। সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে অভিযুক্ত নাজমুন নাহার ওরফে নাজমা চাচতো ভাই মাসুদ হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার বোন রোজিনা আক্তারের সাথে জমিজমার বিরোধে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। পরে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজমা ভুক্তভোগীদের বসত বাডি়তে ঢুকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরর্বতিতে মাসুদ হোসেনের ২ ভাই ও ২ ভাতিজা মজিবর রহমানকে ধাওয়া করে প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের রান্না ঘরে একা পেয়ে মজিবুর রহমানকে মারধর করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মালা বেগম বলেন, আমার স্বামীর নাম ধরে সাবিনা ও রোজিনা ডাক চি কার করে। ঘটনা স্থলে গিয়ে আমি দেখি ব্যাডে়র পানি ঘোলা, জুতা ও ওড়না পানিতে ভাসতেছিলো। ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, নাজমুন নাহার নাজমা’র কোন ভাই বোন নেই। তার বাবা জীবিত থাকতেই ব্রাদারি ভাগ তার ভাইয়ের ছেলেদের লিখে দিয়েছিলেন। সেগুলো হয়ত এখন নাজমুন ফেরত চায় এবং তাদের মাঝে মামলা চলমান। ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন
উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে মামলা মোকদ্দমা ও সালিশ চলমান রয়েছে। আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম র্মতুজা বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে রোজিনা আক্তার সর্ম্পকে মাসুদ হোসেনের শ্যালিকা, তারা উভয়ই গিয়েছিল। মূলত থানায় যারা অভিযোগ করেছেন তারাই উপজেলার জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। অভিযুক্ত মজিবুর রহমান উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওর্য়াডের মৃত. ইউনুস আলী হাওলাদারের জামাতা। দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”