
খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ব্লাড ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে শিক্ষক দম্পতি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুক্তা নাহারের একমাত্র পুত্র, ১৭ বছর বয়সী মাশরাফি বিন মোস্তাফিজ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় উত্তরচক কামিল মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
মাশরাফির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। সদাহাস্য, প্রাণবন্ত ও মিশুক মাশরাফি সকলের কাছে ছিল প্রিয় মুখ। বন্ধুদের কাছে ছিল ভালোবাসার মানুষ। তার মৃত্যুতে বন্ধুমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানাজায় অংশ নেওয়া অনেকেই অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় জানান প্রিয় বন্ধুকে।
অবুঝ বয়সে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা-মা। সন্তানের কফিন আঁকড়ে ধরে বারবার ভেঙে পড়েন তারা। কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে জানাজার মাঠ। সান্ত্বনা দিতে এসে আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরাও কেঁদেছেন।
মাশরাফির এমন অকাল প্রয়াণে এলাকাবাসী বলছেন, “একটা সম্ভাবনাময় জীবন থেমে গেল। এ শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।”
জানাজা শেষে মোনাজাতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মাশরাফিসহ সকল মৃতের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। অনেকেই বলছিলেন— “মাশরাফির স্মৃতি, তার হাসিমাখা মুখ, ভদ্র ব্যবহার—সবসময় চোখে ভাসবে।
এমন একটি উজ্জ্বল মুখের এভাবে নিভে যাওয়া যেন পুরো কয়রাবাসীর হৃদয়ে চিরস্থায়ী এক ক্ষতচিহ্ন রেখে গেল।