
সাজ্জাদ হোসাইন শাহীন , জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুরের মেলান্দহে ঝাউগড়া ইউনিয়নে ইন্দ্রবাড়ী পুত্রবধুকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সম্মান বাচাঁনোর জন্য ছেলে তার বউকে তালাক দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার ঝাউগড়া ইউনিয়নের দক্ষিন ইন্দ্রবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শশুর ইন্দ্রবাড়ী এলাকার মৃত নবা ফকিরের ছেলে আব্বাস ফকির। ভুক্তভোগী গৃহবধু মজিদা খাতুন গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী মজিদা খাতুন জানান, ৪ বছর পূর্বে পোশাক কারখানায় চাকরি কালীন আব্বাসের ছেলে মাফিজুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই লস্পট শশুর অশালীন কথা বলতো।কুপ্রস্তাব দিতো। রাজি না হওয়ায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতো। মোবাইল ফোনে কথা বললে তখনও খারাপ কথা বলতো। গেলো রমজান মাসেও কুপ্রস্তাব দেয়।এ ঘটনা মাফিজুলকে জানালেও সে নানান কথা বলতো। স্বামী বিশ্বাস করতে চাইতো না, আরো নির্যাতন করত, স্বামীও এই কাজ করতে বলত। শশুর, শাশুড়ি, দেবর, আমার মামা শশুর খালেকসহ সবাই আমার সাথে সব সময় শারীরিক ও মানবিক নির্যাতন করত। গত শুক্রবার আমার মা ও মামা আমার শশুর বাড়ি গেলে গ্রামের কয়েকজন মাতব্বর ডেকে আমাকে ছেলেকে দিয়ো তালাক দেওয়ায়।
ওই এলাকার জিসান বলেন, আব্বাস ফকির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের শেষ নেই। একের পর এরকম অন্যায় করার পরেও ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যায়। এর একটা বিহীত হওয়া দরকার। এদিকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তদের ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
ইন্দ্রবাড়ী স্থানীয় লোকজন বলেন, আব্বাস ফকির এর আগেও এ ধরণের আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা তার শাস্তি চাই।
আব্বাস ফকির ভাইরা ছেলে আওয়ামীলীগের নেতা ইসমাইল ও আরেক আওয়ামীলীগের নেতা ফারুক বলেন, এটা কিছুই হবে না। কি হবে সেটা দেখমুনী।
স্থানীয়দের দাবি,আব্বাস ফকির আগেও এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। সালিশ দরবারও হয়েছে।এবার পুত্রবধুকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে।এ ঘটনায় শুক্রবার সালিশ হয়েছে।সেখানে পুত্রবধু সকলের সামনে বলেছে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কথা।
অভিযুক্ত আব্বাস ফকির বলেন,আমি সাধু না।ভুল থাকতে পারে। তবে যে ঘটনা ছড়াচ্ছে এটা মিথ্যা। ছেলে কিসের জন্য বউ তালাক দিছে সেটা আমি জানিনা।
এব্যাপারে জানতে মাফিজুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে এবং বাড়িতে গিয়ে থাকে পাওয়া যায়নি।
সালিশ বৈঠকের মাতব্বর ও আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক কাশেম মেম্বার জানান,আব্বাস ফকির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে শুনেছি।লোকজন বসে মেয়েকে তালাক দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত আব্বাস ফকির এর বড় ভাই হাইবর বলেন,মাফিজুল তার বউকে তালাক দিয়েছে।আর আব্বাসকে সালিশিতে বিচার করা হয়েছে। কেনো বিচার করেছে সেটা জানতে চাইলে বলেননি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন ,এ বিষয়ে ওই গৃহবধুর পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।