
সকালের খবর ডেস্ক
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের প্রথিতযশা সাংবাদিক, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ছাত্রদলের থেকে বেড়েউঠা জনবান্ধব নেতা মোঃ হাফিজুর রহমান শিমুল দলের দুর্দিনে দুঃসময়ে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তিনি স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে হামলা, মামলা আর নানান হয়রানীর স্বীকার হয়ে আর্থিক ও মানষিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিক নেতা ও বিএনপির নেতা এম হাফিজুর- রহমান শিমুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-আমি সাবেক:-সাধারণ সম্পাদকঃ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল। সাধারণ সম্পাদকঃ কালিগঞ্জ কলেজ ছাত্রদল। যুগ্ন আহবায়কঃ কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল। সিনিঃ সহ সভাপতিঃ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবদল। যুগ্ম আহবায়কঃ কালিগঞ্জ উপজেলা যুবদল। নির্বাহী সদস্যঃ সাতক্ষীরা জেলা যুবদল। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ সাতক্ষীরা জেলা যুবদল। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি। যুগ্ম সম্পাদকঃ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি। সিনিঃ যুগ্ম আহবায়কঃ বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি।তথ্য বিষয়ক সম্পাদকঃ উপজেলা বিএনপি কালিগঞ্জ। সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদকঃ সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি।এছাড়াও উপজেলা মৎ্স্যজীবি দল, জিয়া পরিষদসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সাথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে সরব অংশগ্রহন করেছি। এছাড়াও পুলিশ আর আওয়ামী হায়েনাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মহোদয়ের নির্দেশনায় শ্যামনগর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক টিমের প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছি যথাযথ ভাবে।
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে তিনবার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম, তিনবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছি। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ও জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন এর উপজেলা সভাপতি এবং সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে নিষ্ঠার সাথে কলম সৈনিক হিসাবে কর্মরত আছি অতি সুনামের সাথে।
ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতি করে আসছি বলেই ২০১৩ -১৪ সালের হত্যা, পুলিশবাদীসহ ৬ টি জিআর ও ৩টি সিআরপি মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমার বিরুদ্ধে। এখানেই ক্ষ্যান্ত হয়নি আওয়ামী গুন্ডারা, প্রকাশ্যে কালিগঞ্জের প্রত্যাশা কম্পিউটার এর সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চিহৃিত সন্ত্রাসীরা আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে ব্যাপক মারপীট করে যখম করে ফেলে। আমি কালিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে ভর্তি হলেও সেখান থেকে হুমকী ধমকী দিয়ে বাহির করে দেয়। এহেন ঘটনায় সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলেও তৎকালীন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয় এমনকি জোর করে সাদা কাগজে আ’লীগ অফিসে ফেলে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
আমাকে হত্যার লক্ষ্যে কালিগঞ্জ থেকে উত্তর শ্রীপুরে যাইতে পতিমধ্যে টেউরপাড়া নামক সড়কের উপর ফেলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাকে মারপীট ও যখম করে। একইসাথে আমার পায়ের যয়েন্ট ছাড়িয়ে ফেলে। থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করলেও ঐরাতেই সদর হাসপাতালে নিয়ে জরুরী বিভাগে ভর্তি করেণ। সেখানে টানা ২১দিন চিকিৎসা সেবা নিয়ে আমি বাড়িতে ফিরি। এখনও পায়ের যয়েন্টের ব্যাথায় মাঝেমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
ত্যাগ ও জীবনের উপরদিয়ে নানান ষড়যন্ত্র আর হয়রানীর বিনিময়ে আল্লাহ আমাকে রাজনৈতিকভাবে এই পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, শত সহস্র মানুষের ভালবাসা পেয়েছি। আমি ধন্য এইজন্যেই বলি আলহামদুলিল্লাহ! আমি, আমার পরিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও দলের সিনিয়র ও তৃণমূলের সকল নেতৃবৃন্দ প্রতি কৃতজ্ঞ।
স্বৈরাচার পতন হয়েছে, ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়েছে কিন্তু আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই। আমার অপরাধ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনকল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি নিজ দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকি। পেশায় সাংবাদিকতা করি বলেই আমাকে সকল অনুষ্ঠানমালায় যাইতে হয়, গেছিও। এমনকি জাতীয় ও স্থানীয় অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাও করতে হয়। সেকারণে স্টেজের সকলের সাথে আমার ছবিটাও ক্যামেরাবন্দী হয়। তার মানে এই নয়যে আমি আমার নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কারোর হয়ে গেছি। এটা নিয়ে যে বা যাহারাই কথা তোলেন তারা দলের জন্যে আদৌ কি অবদান রেখেছেন। তাদের বিরুদ্ধে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলের একটিও রাজনৈতিক মামলা হয়েছে কিংবা একটি জিডিও হয়েছে এমন ডকুমেন্ট কি দেখাতে পারবেন?
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশনা মোতাবেক কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের পাশে যাচ্ছি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার উপস্থাপনাও করছি। এ কারণেই উপজেলার মধ্যে হাতে গোনা আওয়ামী সময়কালের দোসর দুই চারজন ব্যাক্তি আক্রোশে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আমি তাদের হীন অপ -প্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
সম্প্রতি “জাতীয় নাগরিক কমিটি” নামক একটি প্যাডে কালিগঞ্জ উপজেলা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি কমিটিতে “জুলাই-২৪ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত আন্দোলন কারীর সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি কমিটি”র তালিকায় আমাকে না জানিয়ে আমার নাম রেখেছে। যা আমার অজান্তে ও অজ্ঞাতসারে, সুতরাং আমি উক্ত কমিটির প্রতিনিধির পদ থেকে (২) সম্পুর্ণ স্বজ্ঞ্যানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় পদত্যাগ করছি। বিগত দিনেও একমিটির কেহ আমাকে কোথাও আহবান করেনি ভবিষ্যতেও কেহ এ পরিচয়ে আমাকে আহবান করবেন না আশাকরি। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুর্দিন, দুঃসময়ের নিবেদিত কর্মী ছিলাম আগামীদিনেও শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক হয়ে থাকতে চাই।