
মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই। ঈদকে সামনে রেখে ঈদের অন্যতম অনুসঙ্গ এই সেমাই তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা চটকদার প্যাকেটে পুরে বাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভ্রাম্যমান আদালত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি করতে দেখে ৩টি সেমাই কারখানা মালিলের জরিমানা করেছে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওন এর ভ্রাম্যমান আদালত সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুরে মা ফুড কারখানায় অভিযান চালান। এসময় নোংরা ও অস্বাস্থ্য পরিবেশে সেমাই ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরি করতে দেখে তিনি ঐ কারখানাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। একই দিন দিনাজপুর থেকে ভোক্তা অধিকারের বিশেষ টিম পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্য পরিবেশে সেমাই তৈরির অভিযোগে সৌখিন সেমাই কারখানাকে ১০ হাজার টাকা এবং লুৎফর সেমাই কারখানাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। চটকদার মোড়কে বাজারজাতকারী এসব সেমাই কারখানার নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরির কথা এবং জরিমানা খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোক্তাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা ভেজাল সেমাই খেলে শিশুদের মারাত্মক স্বাস্থ্যহানী ঘটতে পারে। এছাড়া পেটের পীড়াসহ কিডনী ও লিভারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি সেমাই স্বাস্থ্যঝুঁকি। জনস্বার্থে ভেজালবিরোধী ও অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাবার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।