
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দিন ও রাতে চলছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আশুগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের একটি পুকুর ভরাটের কাজ। সংঘবদ্ধ একটি ভুমিখেকু চক্র অবৈধভাবে সরকারী জায়গায় মাটি ভরাট করে দোকানপাট নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পুকুরটি প্রায় অর্ধেক ভরাট করা হয়েছে। পাশাপাশি এখন চলছে দোকানপাট নির্মাণ কাজ। পুকুর ভরাট ও এসব দোকানপাট নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আশুগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তবে আশুগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানালেন, কাজ বন্ধ করতে তাদের বলা হয়েছে। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি-পরিচালক জানান অভিযুক্তদের আজ বুধবার সকাল ১১ টা স্ব-শরীরের উপস্থিত থাকার জন্য নোটিস্ দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ রেলগেইট এলাকায় সোনরামপুর মৌজার ১৮৯৯ মৌজার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুরটি স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুস ছোহবান ফারকুলিত, আব্দুল ওয়াদুদ ও মাসুদ রানা মিলে দিন ও রাতে বালি দিয়ে ভরাট করে যাচ্ছে। পাশাপাশি দোকানপাটও নির্মাণ করা হচ্ছে। পুকুর ভরাট ও দোকান নির্মাণ বন্ধে তাদের মৌখিক ভাবে বার বার বলা হলে তারা কোন তোয়াক্কা করছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগকে। এই পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে এই এলাকার জীব বৈচিত্র, প্রাকৃতিক পরিবশে ও মাটির ভূ প্রাকৃতিক পরিবর্তন পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হবে। সরজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেথা যায় পুকুরটি প্রায় অর্ধেক ভরাট করে দোকান পাট নির্মাণ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের খবর পেয়ে ছুটে আসেন ভরাটকারি আব্দুল ওয়াদুদ। তিনি জানান আমরা পুকুর ভরাট করেনি। আমরা রেল থেকে লিজ নিয়ে ছিলাম, তবে এখন পুকুরটি এখন নতুন বি,এস বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে রয়েছে। পুকুরটি উদ্ধার করার জন্য রেলওয়ে মামলা দায়ের করেছে। এই সময় তার জানতে চাওয়া হয়, কোন লীজের কাগজ আছে কি, না। তা তিনি দেখাতে পারেনি। তবে তিনি জানান গত জুন মাসে তাদের কৃষি ও বাণিজ্যিক লীজের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এই ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ ও বিতরণ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, আমি লিখিত ভাবে পুকুরটি ভরাট বন্ধ ও দোকানপাট নির্মাণ বন্ধ করতে জন্য সংশ্লিষ্ঠ কৃর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক বিসল চক্রবর্তী জানান, আমরা এই সংক্রান্ত অভিযোগপত্র পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভরাটকারীদের বুধবার সকাল ১১টায় উপস্থিত থাকার জন্য নোটিস প্রদান করা হয়েছে।এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, পুকুরটি ভরাট ও দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য তাদের বলা হয়েছে।