
মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী লম্বাবিল তিতার পাড়ায় রবিউল আলমের বসতঘরে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে বসতঘর ভেংগে চুরমার , লুটপাট ও তান্ডব সহ মালামাল লুট করে অন্তত ৫ জনকে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ছয়টার দিকে রবিউলের বসতঘরে।
প্রত্যক্ষ দর্শী গৃহ কর্তা রবিউল আলম ও পথচারী আনোয়ারা জানান সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ৩ টি গাড়ীতে করে (ডাম্পার, মিনি ট্রাক, মাইক্রো) ২০ /৩০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রবিউলের বসতঘরে হামলাসহ ভাংচুর চালাতে থাকে। ঐসময় রবিউল আলম ও তার স্ত্রী সেহেরি খেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। তারা কোন রকম ঘর থেকে বের হয়ে ছেলে সন্তানদের নিয়ে প্রানে রক্ষা পায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষ দর্শী সাবেক ইউপি সদস্য দুদু মিয়া জানান ২০/৩০ জনের সন্ত্রাসীদল পার্শবর্তী বাড়ীর শফিউল আলমের ভাড়া করা ককসবাজার জেলার ঈদগাও থানাধীন ইসলামপুর ইউনিয়ন ও ইসলামাবাদ ইউনিয়ন থেকে আনা লোকজন নিয়ে পুরো বাড়িটা ভেংগে চুরমার সহ তান্ডব লিলা চালায় প্রায় আধা ঘণ্টা যাবত।
এসময় গ্রামের অধিকাংশ লোকজন ঘুমে এবং বাকী ছেলেরা রাবার বাগানে কষ আহরনের জন্য বাগানে অবস্থান করছিল। ঐ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসব তান্ডব চালায় সন্ত্রাসীরা। ভাটাটিয়া সন্ত্রাসীদের হাতে প্রত্যেকের দেশীয় অস্ত্র দেখতে পায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এসময় এলাকাবাসী এবং গৃহকর্তাদের সু চিৎকার ও বসতঘর ভাংচুরের বিকট শব্দে লোকজন এগিয়ে আসেন। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় স্থানীয় ও বাড়ীর ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, দুদু মিয়া ৬৭, ছৈয়দ আহাং ৫৫, মকবুল আহাং ৫০, তসলিমা ৩০, ফারজানা আক্তার রাফি ৩৫। আহতরা বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ সময় এলাকাবাসী ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জন কে জনতা কতৃক আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
আটক কৃতরা হলো ককসবাজার জেলার ঈদগাও থানাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মনজুর আলমের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আউলিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা আমানুল্লাহর পুত্র মোঃ করিম (৩৫)। আটককৃতরা বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তারা জানান এলাকাবাসীর পিঠুনিতে তারা সহ তাদের ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।কেন তারা এঘটনা ঘটিয়েছেন জানতে চাইলে তাদের নিকটতম আত্বীয়ের জায়গা উদ্বার করতে এসেছে বলে জানান।
খবর পেয়ে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী ইনচার্জ সংগীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনা ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রবিউল আলম জানান, তার চাচা মকবুল আহাং বাদী হয়ে আটককৃত সহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েজনের নামে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।