
রাজশাহীর বাগমারায় নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদে পুনরায় প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলন রফিকুল ইসলাম। বিগত ৫ আগষ্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার আবুল। যার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের কাজে প্রশাসনিক স্থবিরতা দেখা দেয়।
সেজন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিন বারের নির্বাচিত মেম্বার রফিকুল ইসলামকে রাজশাহী জেলা প্রশাসন থেকে এক আদেশে নরদাশ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
এর পর থেকে তিনি অর্থনৈতিক সহ প্রশাসনিক দায়-দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আবার ৩০ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসন স্থানীয় সরকার শাখা থেকে এক স্মারকে নরদাশ ইউনিয়নে প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার আইসিটি তাজরুল ইসলামকে।
এর পর নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। যার রিট নং ১৭২৯/২০২৫।
রফিকুল ইসলামের পক্ষে মোকদ্দমাটি মুভ করেন ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক (রাজন)।
মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে নরদাশ এলাকায় অনেককে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) সকাল এগারো’টায় প্রথমে রাজশাহী শাহমখদুম বিমান বন্দরে, দ্বিতীয়বার মোহনপুর উপজেলার কামারপাড়া বাজারে এবং বেলা দ্বিপ্রহরের দিকে নরদাশ বাজারে ০১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে ফুলেল শুভেচ্ছা ও গণসংবর্ধনা প্রদান করেন ইউনিয়নবাসী।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম জানান, রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন, আমি সুবিচার পেয়েছি। এছাড়াও পূর্বের আদেশ স্থগিত করেছেন।
নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার আইসিটি তাজরুল ইসলামকে ফোনদিলে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তিনি ( জনাব রফিকুল ইসলাম) কোন আদেশের চিঠি এখন পর্যন্ত আমাকে দেননি।