
মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে, সড়কে বেডে়ছে ডাকাতি-ছিনতাই ও রাহাজানী। প্রতি রাতেই কোন না কোন সড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। মানুষ জান মাল নিয়ে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। এখন সন্ধ্যার আগেই রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পডে়। রাস্তায় বের হলেও পড়তে হচ্ছে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কবলে। গুরুত্বর্পূণ কোনো কাজে
যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মানুষ যেতে পারছেন না।
তবে আইনশৃঙ্খলার নাজুক অবস্থা, পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে?
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে ।সুর্নিদিষ্ট ◌্অভিযোগ দিলেও পুলিশ ডাকাতি ◌্অভিযোগ না নিয়ে চুরির◌্অভিযোগ নিচ্ছে। এমনকি চিহ্নিত ছিনতাইকারী সাগরকে ও ৩ জন ট্যানেস মিটর চোরকে হাতে না আটক করে সংশ্লিষ্ট ৩ নং সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান
মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের মাধ্যমে থানায় সোর্পদ করা হলে তার বিরুদ্ধে চুরির ঘটনা দেখিয়ে হাজতে দেওয়া হয়েছে।এসব চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই ঘটনায় এখন র্পযন্ত কাউকে আটক করতে
পারেনি পুলিশ। ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।পুলিশের র্পযাপ্ত টহল না থাকায় চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেডে়ছে
বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে, কিছুদিন পুলিশি টহল নিষ্ক্রিয় থাকলেও এখন এলাকায় পুরোদমে র্কাযক্রম চলছে।গত এক মাসে প্রায় ১০টিরও বেশি চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাণীগঞ্জ-ডুগডুগী সড়কের ভাত ছালা নামক স্থানে গাছ ফেলে ডাকাতি করে,২৫ ডিসেম্বর রাতে ১০ থেকে ১১ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ঘোড়াঘাট-রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কলাবাড়ী সড়কের ওপর রশি দিয়ে মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতরা দেশীয় ◌্অস্ত্রের মুখে মোটর সাইকেল সহ পথচারী, যাত্রী ও কয়েকজন জখমের পাশাপাশি মারধর করে ◌্একটি ব্যাটারী চালিত◌্অটো ভ্যান ৪টি মোবাইল ও নগদ র্অথ লুট করে নিয়ে যায় । ডাকাতদের হামলায় কয়েকজন আহত হন। মালিককে বেঁধে রেখে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চেংগ্রামের মৃত অফুর উদ্দিনের ছেলে সাবদুল◌্ইসলামের ২টি ফ্রিজিয়ান জাতের বিদেশী গরু ডাকাতি সংঘটিত হয়।২৬ডিসেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট-রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে নিতাইশাহ পুকুর নামক ন্থানে গাছ ফেলে যাবাহনে গণ ডাকতির চেষ্টা করে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট-রাণীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে র্দুগাপুর নামক ডাকাতি সংঘটিত হয়। স্থানীয়রা জানান, আগে এলাকায় পুলিশি টহল থাকার কারণে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই ছিল না। গভীর রাতেও মানুষ রাস্তাঘাটে চলাচল করতো। এখন সন্ধ্যার আগেই রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পডে়। রাস্তায় বের হলেও পড়তে হচ্ছে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কবলে। গুরুত্বর্পূণ কোনো কাজে যাওয়ার
প্রয়োজন হলেও মানুষ যেতে পারছেন না। উপজেলার বেশ কয়েকটি পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও গত ৫ আগস্ট পর পুলিশ
ফাডি়র পুলিশ এক রকম নিষ্ক্রিয় হয়ে পডে়ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে
দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।