
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত পিরোজপুর -১ আসনের প্রার্থী আল্লামা সাইদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী বলেন, শেখ হাসিনাকে আয়না ঘরে ঢুকানোর মতো কোন ঘর বাংলাদেশে নেই তিনি এতো বড় পাপিষ্ঠ জাহন্নাম ছাড়া তার কোন জায়গা হওয়ার কথা না। হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনা অপরাধে কারাগারে পাঠিয়েছে ।
মাসুদ সাঈদী বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্য এ ছিলো না, যে শেখ মুজিবকে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসাবে এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না। বরং বাংলার মানুষের উদ্দেশ্য ছিলো যে আমরা শোষণ, নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পাবো। তারা ভেবে ছিলো একটি শোষণ বঞ্চনা মুক্ত রাষ্ট্র পাবো, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পাবো। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর কি দেখা গেল ? বাংলাদেশ দূর্ভিক্ষে ভাসছে, বাংলার মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে আর শেখ সাহবের সন্তানেরা সোনার মুকুট পরে বিয়ে করছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা ২নং মালিখালী ইউনিয়ন জামায়াতে কর্মী সভা উপলক্ষ্যে স্থানীয় ঝনঝনিয়া মিঠারকুল মাদরাসা মাঠে ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা আব্দুল আলী নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন সেক্রেটারি মাওলানা মীম ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলার মানুষ দেখেছে কি ভাবে শেখ সাহেবের সন্তানেরা ব্যাংক গুলো লুট করেছে। বিরোধী মতের প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে তৎকালীন সরকার হত্যা করেছে। বাক স্বাধীনতাকে রুদ্ধ রেখেছে। মাত্র ৪ টি পত্রিকা রেখে বাকি সকল পত্রিকা তারা বন্ধ করে দিয়েছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামের ভিতরে একটি কোরআনের আয়াত ছিলো সেই আয়াতটুকু তারা সহ্য করতে পারে নাই তারা সেটুকু মুছে ফেলেছে। কবি নজরুল কলেজের নাম ছিলো নজরুল ইসলাম সেই ইসলামটুকুও তারা মুছে দিয়েছে। অতি সত্তর আমরা জানতে পারলাম জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিলো জাহাঙ্গীর নগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় শেখ মুজিব মুসলিম শব্দটুকু সহ্য করতে পারে নাই তারা মুসলিম শব্দটুকু মুছে দিয়েছে। তাহলে কি ৭১ সালে বাংলার মানুষ যুদ্ধ করেছিলো ইসলাম মুৃছে ফেলার জন্য ? কিন্তু তারা পরিকল্পিত ভাবে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুৃছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে ছিলো।এসময় তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লি থেকে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলো। কিন্তু বাংলার মানুষ তখন বুৃঝতে পারেনি। ২০২৪ সালের ৫ ই আগষ্ট স্বাধীনতার পরে প্রমান হয়ে গেছে। বাংলার মানুষ বুৃৃঝতে পেরেছে শেখ হাসিনা ভারতের দিল্লি থেকে ৮১ সালে বাংলাদেশ এসেছিলো দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে। বাংলাদেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, বাকস্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, মানুষের মৌলিক অধিকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে শেখ হাসিনা ২৪ সালে আবার দিল্লিতে ফিরে গেছে।এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ছাত্রনেতা ও সরকারি আইন কর্মকর্তা এ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা, উপজেলা জামায়াতের বাইতুলমাল সম্পাদক মাওলানা আবু দাউদ, প্রমুখ।