
দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ৭ বছর বয়সের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে ইনছার আলী (৫৫) নামে একবৃদ্ধ কাঠমিস্ত্রী। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বৃদ্ধ কাঠমিস্ত্রী ইনছার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুরস্থ পারভেজ নার্সারীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুরে শিশুটির মা রহিমা খাতুন (২৭) বাদী হয়ে ধর্ষক ইনছার আলীর (৫৫) বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার ধর্ষক ইনছার আলী বিরামপুর উপজেলার পাশ্বর্বতী নবাবগঞ্জ উপজেলার ছোট মাগুরা (শালখুড়িয়া) গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
মামলা সুত্র জানা যায়,প্রতিদিনের ন্যায় শিশুটি বিরামপুরস্থ মির্জাপুর নূরানী কালিমুল মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফিরছিল। বাড়ী ফেরার পথে মির্জাপুর গ্রামে জনৈক পারভেজ নার্সারির সামনে পৌঁছামাত্রই ঐ শিশুটিকে কামরাঙ্গা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বৃদ্ধ কাঠমিস্ত্রী ইনছার আলী (৫৫) কৌশলে নার্সারির ভিতরে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায়। নার্সারির ঝোপের ভিতরে নিয়ে শিশুটি জোর পূর্বক ধর্ষন করে। শিশুটি বাড়ি ফিরে এসে ব্যাথায় কান্নাকাটি করলে শিশুটির মা জিজ্ঞেস করলে সে মা’কে সব কথা খুলে বলেন। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (হাসপাতালের) কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকিরুল ইসলাম শিশুটির অবস্থা গুরুত্বর দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রের্ফাড করেন। ৭ বছর বয়সী ঐ শিশুটি বিরামপুর পৌর শহরের মির্জাপুরস্থ নূরানী কালিমুল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে মামলার প্রেক্ষিতে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকারের নির্দেশে এসআই আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে সর্ঙ্গীয় ফোর্স তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া ইউনিয়নের পচাঁ করঞ্জি গ্রাম থেকে ধর্ষক ইনছার আলী (৫৫) কে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির মা রহিমা খাতুন (২৭) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের অনেক বড় সর্বনাশ করেছে ঐ পাষান্ড। আমিও আমার মেয়ে কিভাবে সমাজে মুখ দেখাব। যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ধর্ষক গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে ধর্ষক ইনছার আলীকে দিনাজপুর কোর্টে সোর্পদ করা হয়েছে।