
আশুগঞ্জের মোহাম্মদ আলী জমি কেনার প্রায় দশ বছর পর আদালতের নির্দেশে দখল বুঝে পেলেন।গত ১৩ নভেম্বর সোমবার আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্রয় করা জমির দখল পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
জানা যায়, আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা স্টেশন রোড এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মোহাম্মদ আলী বিগত ২০১৪ সালে একই উপজেলার আড়াইসীধা গ্রামের হাজী হাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ রাশেদুর রহমান ভূঁইয়ার নিকট থেকে ৯৭২ নং নামজারি খতিয়ান মূলে আড়াইসীধা মৌজার ৩২ শতাংশ এবং ১২৮২ নং নামজারি খতিয়ান মূলে চরচারতলা মৌজার ৬.৩৭ শতাংশ জমি ২ কোটি ৩০ লক্ষ মূল্যে ক্রয় করেন। পরে সে বছররের ১৫ জানুয়ারি বিক্রেতাকে নগদ ২ কোটি টাকা প্রদান করে সাব রেজিস্ট্রারি অফিসের মাধ্যমে বায়নাপত্র দালিল সম্পাদন করা হয়। বায়নাপত্রে দলিল দাতা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ৬ মাসের মধ্যে সাফ কাবালা দলিল করে দিয়ে বাকী টাকার বুঝে নেয়ার অঙ্গিকার করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও তিনি সাফ কাবালা দলিল সম্পাদন ও জমির দখল বুঝিয়ে দেননি। এরপর থেকে তিনি ক্রেতার সাথে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং জমি বুঝিয়ে না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার ফন্ধি করতে থাকেন।
পরে ক্রেতা মোহাম্মদ আলী সামাজিকভাবে সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হন। পরে ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ক্রেতার পক্ষে রায় দিয়ে আশুগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রিারি অফিসে উক্ত নালিশা ভূমির সাফ কাবালা দলিল সম্পাদন করে দেন। এরপর বিক্রেতা রাশেদুর রহমান ভূঁইয়া উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন।
হাইকোর্ট বিভাগ জর্জ কোর্টের রায় বহাল রেখে পরপর দুটি আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। সর্বশেষ চলতি মাসের ১৩ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জর্জ প্রথম আদালতের নির্দেশে ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্রয় করা জমির দখল বুঝে পান মোহাম্মদ আলী। এতে তিনি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুগ্ম জেলা জর্জ আদালতের রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।