
পঞ্জিকা মতে মঙ্গলবার দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। বুধবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে । ঢাকের বোল, কাঁসর ঘণ্টা আর শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে পূজামণ্ডপ।মহালয়া, বোধন ও সন্ধিপূজা—এই তিন পর্ব মিলে দুর্গোৎসব। গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বোধন এই পূজার প্রধান একটি আচার। ‘বোধন’ শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্তি। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলগাছের শাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। সাধারণত শুক্লা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন হলেও এবার তিথি অনুযায়ী পঞ্চমীতেই বোধন পড়েছে। তাই গত বুধবার সন্ধ্যায় সব মণ্ডপে দেবীর বোধন হয়েছে। দেবী দুর্গা এবার দোলায় চড়ে আগমন ও ঘোটকে গমন (প্রস্থান) করবেন। আগামী ১২ অক্টোবর মহাদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।পুরাণ অনুযায়ী, প্রতি শরতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বর্গলোক কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নির্দিষ্ট তিথি পর্যন্ত বাবার বাড়িতে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। দেবীর অবস্থানকালে পাঁচ দিন পৃথিবীতে ভক্তরা দেবী মায়ের বন্দনা করেন। এই বন্দনাকে কেন্দ্র করে দেশবাসী মেতে ওঠে উৎসব আনন্দে।পঞ্জিকা মতে- মঙ্গলবার দেবীর বোধন, বুধবার ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস। অতঃপর বৃহস্পতিবার শুরু হবে মহাসপ্তমী তিথি মহাসপ্তমীর প্রভাতে ঢাক-ঢোলক-কাঁসর বাজিয়ে নবপত্রিকা স্নান, নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্তম্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পূজা । শুক্রবার মহাঅষ্টমী বিহিত পূজা ও সন্ধিপূজা। মহাঅষ্টমী পূজামণ্ডপগুলিতে অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। শনিবার নবমী বিহীত পূজা ও দশমী বিহিত পূজা, সমাপণ ও পরে দর্পণ বিসর্জন।এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূজামণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার,র্যাবসহ সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।