
রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার মুগাইরপাড়া পাড়া গ্রামের ছেলে কামরুল হাসান। পেশায় তিনি ঢাকা আগারগাঁও কর ভবনের একজন সিপাহী। তার শশুর আবুল কালাম আজাদের সাথে নিজ গ্রামেরই এক প্রতিবেশীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। সেই দ্বন্দ্বের জের ধরে আবুল কালাম আজাদকে শায়েস্তা করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা শুরু করেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে শশুর আবুল কালাম আজাদ সহ মেয়ে জামাই কামরুল হাসান এর নামে বিভিন্নভাবে হেনস্তার ব্যবস্থা করেন তিনি।
তার পরিপ্রেক্ষিতে একটি পত্রিকার ওয়েবসাইটে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরির ক্ষমতা বলে মাদকের গডফাদার কামরুলের ঘরে আলাদিনের চেরাগ নামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যেই সংবাদের কোন প্রকার ভিত্তি নেই। কোন প্রকার তথ্য কোন প্রকার এভিডেন্স ছাড়াই নিউজটি অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয় কামরুল হাসান চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকা সম্পদ অর্জন করে।
আসলে কামরুল হাসান একজন সিপাহী কিন্তু সিপাহী হয়ে এত কিছু করা কোন মতেই তার পক্ষে সম্ভব নয়। কোন প্রকার তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিউজটি প্রকাশ করা হয়।
একজন পেশাগত সাংবাদিকের দায়িত্ব হচ্ছে কোন অভিযোগ পেলে তা যাচাই-বাছাই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তারপর একটি সংবাদ প্রকাশ করা। যা এখানে কোন মতেই পেশাগত দায়িত্বের পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতেই নিউজটি লিখা হয় যা পেশাগত ভাষাগত দিক থেকেও সম্পূর্ণ বেমানান।
সিপাহী কামরুল হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি একজন ক্যান্সারের রোগী। ক্যান্সারের চিকিৎসা চালাতেই তিনি হিমশিম খাচ্ছেন সেখানে কোটি কোটি টাকার সম্পদ তিনি কোথায় পাবেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির ওয়েবসাইটে নিউজটি অনলাইন আকারে প্রকাশ করার পর একজন সাংবাদিক পরিচয় কামরুল হাসান এর কাছে ফোন করে বলেন, যে আপনার নামে একটি নিউজ করা হয়েছে নিউজটির প্রতিবাদ দিতে চাইলে কিছু খরচ দিয়ে দিন আমরা প্রতিবাদ ছাপিয়ে দিবো।
প্রতিউত্তরে কামরুল হাসান বলেন,ভাই আমি একজন সাধারণ সিপাহী আমার কাছে এত টাকা পয়সা নেই যে আমি কোটি কোটি টাকা সম্পদ অর্জন করেছি এবং যার প্রেক্ষিতে আপনারা কোন তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই নিউজটি প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিবাদ দেয়ার জন্য বলছেন। আমার কাছে দেয়ার মত কোন টাকা পয়সা নেই আমি একজন ক্যান্সারের পেশেন্ট আমার চিকিৎসা খরচ চালাতে আমি হিমশিম খাচ্ছি সেখানে আপনি প্রতিবাদের নাম করে টাকা চাচ্ছেন এটা কি কোন পেশাগত সাংবাদিকতার দায়িত্বে পড়ে। এভাবে বেশ কিছুদিন ফোনের মাধ্যমে দেন দরবার চলতে থাকে কামরুল হাসানের সাথে। একপর্যায়ে কামরুল হাসান বলেন, যে ভাই আপনার কাছে যদি কোন তথ্য থাকে কোন প্রকার অভিযোগের কপি থাকে বা কোন কাগজপত্র বিন্দু পরিমান ডকুমেন্ট যদি থেকে থাকে তাহলে আমাকে দেখান,অন্যথায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। যে আপনি কিসের ভিত্তিতে কোন তথ্যের ভিত্তিতে আপনি অনলাইনে নিউজটি প্রকাশ করেছেন। যার ফলে ওই সাংবাদিক পরিচয়ধারী আর তাকে ফোন করেনি।
একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব হচ্ছে সাংবাদিকতায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে সংবাদের সত্যতা প্রমানে যেধরনের ডকুমেন্ট সংগ্রহে রাখার দায়িত্ব তা এখানে করা হয়নি। বিধায় সংবাদটি যে তার শ্বশুরে প্রতিপক্ষ ধারা হিংসা পরায়ণভাবে করা হয়েছে তা প্রকাশ্য।