
বাংলাদেশের খুচরা বাজারে ১ কেজি আকারের ইলিশের দাম ১৫শ থেকে ১৮শ টাকা। তবে একই আকারের ইলিশ মাছ ভারতে গেল প্রতি কেজি ১০ ডলার অর্থাৎ ১২শ টাকা কেজি দরে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ টন ৩শ কেজি ইলিশ মাছ ভারতে যায়।
ছয়টি ট্রাকে এসব মাছ পাঠানো হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা ও বিকালের দিকে মাছগুলো স্থলবন্দরে আনা হয়।
কাস্টমস ও বন্দরের ব্যবসায়িদের সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণালী ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪ টন ও বিডিএস কর্পোরেশন প্রায় ৩ টন মাছ রপ্তানি করে। এসব মাছের সিএন্ডএফ করে আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ও ট্রেড লিংক ইন্টারন্যাশনাল।
এ বন্দর দিয়ে প্রায় ২০০ টনের মতো মাছ রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার ইলিশ মাছ রপ্তানির যে অনুমতি দিয়েছে, এরই অংশ হিসেবে আখাউড়া দিয়ে পাঠানো হলো। প্রতি কেজি মাছ ১০ ডলারে যাচ্ছে। তবে মাছের দাম নির্ধারণের বিষয়টি আমার জানা নেই।
অবশ্য এটুকু বলতে পারি নিশ্চয় সরকারি নিয়ম মেনে রপ্তানি করা হচ্ছে।’
বন্দরের ব্যবসায়ী মো. নেসার ভূঁইয়া বলেন, ‘ওপারে সেভেন সিস্টারে ইলিশ মাছের খুব একটা চাহিদা নেই বলে মনে হচ্ছে। তারপরও কিছু মাছ রপ্তানি হবে। আমিও একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাছ রপ্তানি করার প্রস্তুতি নিয়েছি।’
স্থলবন্দর মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক জানান, বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মাছ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যায়।
প্রথমদিন ৭ টনের বেশি মাছ রপ্তানি হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মাছ যাবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মাছ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির বিপরীতে জমা হওয়া কাগজপত্র দেখে মাছ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।’
তিনি জানান, একেকটি মাছ এক কেজি ও এক কেজির নিচের আকারের।