
ডেস্ক রিপোর্ট : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আগে থাকলেও তার নামফলক এখন ক্যাম্পাসে নেই। সেটা পুনঃস্থাপন করা হবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপাচার্য আরও বলেন, সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে, স্বৈরাচারকে ঠেকাতে হবে এবং সবাই মিলে সফলতা অর্জন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে বলেন, কনসালট্যান্টের নিয়োগ দিয়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের কাজ করা হবে। ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয় এ সংস্কৃতি পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক চর্চা করতে হবে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তীর নির্দেশনায় বর্তমান জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিথুন বাড়ৈসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম সংবলিত নামফলক ভেঙে ফেলে। ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী তার ফেসবুক প্রোফাইলে নামফলক ভাঙার ভিডিওটি তখন শেয়ার করেছিলেন। এর আগে গত ২০১৭ সালের ৮ জুন প্রথমবারের মতো রাতের আঁধারে খালেদা জিয়ার নাম সংবলিত নামফলক ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়। পরদিন ৯ জুন প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল করে এবং নামফলক পুনঃস্থাপনের জন্য প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেয়া হলে তখনকার প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদের মধ্যস্থতায় তা পুনঃস্থাপিত হয়। ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত নামফলকটি ভাঙচুর করার পর আর তা ঠিক করেনি তৎকালীন প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ২ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ফলক উন্মোচন করেন। ওই ঘোষণার আলোকে ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে জগন্নাথ কলেজ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়।