
কক্সবাজারে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল (ডিগ্ৰী) মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিউল হক চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল। শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিকাশ এমপি সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী পন্থী কমল লীগের কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাইল নোমান সহ-সভাপতি থাকার সুবাদে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফি, দোকান ভাড়ার টাকা, সামনের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়, মাদ্রাসার জমি লাগিয়তের টাকা আত্মসাৎ এবং ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে মাদ্রাসার জমি ১ শ বছরের চুক্তির টাকা আত্মসাৎ,শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা এনটিআইচিতে না দেওয়া, নিয়মিত ক্লাস না করা, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন,অনিয়ম,দুর্নীতিসহ নানা ধরনের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়। এসময় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিউল হক চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করা হয়। এসময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও নানান ধরনের ফেইসটুন নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনায় অনিয়মসহ উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোসহ ১০ টি অভিযোগ তুলে ধরে একদফা দাবীতে মাদ্রাসার মাঠে স্লোগান ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। শিক্ষার্থীরা জানান বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিউল হক চৌধুরী মহোদয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব সিনিয়র একজন শিক্ষকের উপর ছেড়ে দিয়ে ওনার আগের সপদে থেকে শিক্ষকতা করবেন। এর পর তিনি মাদ্রাসার দোকান ভাড়া, ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে চুক্তি করে জমি বিক্রি, চাষের জমি লাগিয়তের টাকা, নামে মাত্র মাদ্রাসার ২০টিরও বেশি বড় বড় মিয়া গুনি গাছ বিক্রিসহ বিভিন্ন ধরনের ফিসহ সকল অনিয়মের বিষয়ে হিসাব প্রদান করবেন। এছাড়াও তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি সফল করতে ছাত্র-ছাত্রীরা গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
এ প্রতিবেদক অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ এসব বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ শফিউল হক চৌধুরীর সাথে কথা বলতে মাদ্রাসায় গেলে তিনি অনুপস্থিত থাকায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপস্থিত শিক্ষকগণ বলেন এমন পরিস্থিতিতে তারা শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেবেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকদের কাছে। এ বিষয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেওয়ার জন্য বলেন। এর পর তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।