
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার নারী বিদ্যাপীঠ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের সেই অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার অসুস্থতাজনিত কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বজলুল করিম।
গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার আত্মগোপনে রয়েছেন এমন প্রচারণা চালানো হয়।
একারণে কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম সহ কলেজের বিভিন্ন কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়। পাশাপাশি কলেজের ছাত্রী হোস্টেলটি অরক্ষিত ও পাহাড়াদার নেই বলে প্রচার চালানো হয়। এছাড়াও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়নম ও দুর্নীতির কথা প্রচারণা চালানো হয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারকে। অসুস্থতা বেড়ে গেলে ৮ আগস্ট শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
তখন থেকেই অসুস্থতা নিয়ে শেরপুরেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই অধ্যক্ষ। কিন্তু অধ্যক্ষ আত্মগোপনে রয়েছেন এমন প্রচার হওয়ার পর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
কলেজের একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী জানান, অধ্যক্ষ বজলুল করিম তালুকদার বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ৮ আগস্ট থেকে তিনি শেরপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার আত্মগোপনে যাওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ গুজব। তিনি হাসপাতালে থেকেও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। কলেজের সকল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলছে। একটি মহল সুনাম ক্ষুন্ন করতে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদার এব্যাপারে জানান, আমি বর্তমানে শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। সুস্থ হলেই কলেজের সকল কাজে অংশগ্রহণ করবেন। তাই তিনি গুজবে কান না দিতে সবাইকে অনুরোধ করেন।