
বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমে বসতভিটির জমি দখলে বাধাঁ দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ী দা’য়ের কোপে খুন হয়েছে ছেলে আহত হন পিতাও।
ঘটনাটি ঘটেছে,সোমবার (১২ আগষ্ট) রাত একটার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের জলপাইতলীতে । নিহত যুবক জামাল উদ্দিন (২৭)ওই এলাকার আবুল কালাম প্রকাশ কলিমের ছেলে।জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।স্ত্রী বর্তমানেও সন্তান সম্ভাবা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,জলপাইতলী এলাকার আবদুল হাকিম ও আবুল কালাম কলিমের মধ্যে বসতভিটির পাশের জমি ও সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল হতাহতদের মধ্যে । এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়েছিল।এরই জেরে ১১ আগষ্ট দিনের বেলায় আবুল কালাম কলিমের বসতভিটির জায়গার অংশে আবদুল হাকিমের পরিবার ঘেরাবেড়া ও সীমানা খুটি স্থাপন করে।
১১ রোববার আগষ্ট দিন শেষে রাত বারোটার দিকে বাড়িস্থ প্রয়োজন শেষে আবুল কালাম কলিমের ছেলে জামাল উদ্দিন বাড়িতে ফিরলে বাবা-মা,স্ত্রী তাদের জায়গা দখল করে সীমানা খুটি স্থাপন ও ঘেরাবেড়া দেয়ার খবর দেন।
জেনে জামাল উদ্দিন তাদের দখলে থাকা বসতভিটির অংশ দেখতে রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে উৎপেতে থাকা আবদুল হাকিম ও তার ছেলে আফলাতুন কায়সার কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জামাল উদ্দিন কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে । জামাল উদ্দিনের শোর চিৎকারে তার বাবা আবুল কালাম কলিম এগিয়ে গেলে তাকেও একই কায়দায় রক্তাক্ত জখম করেন ।
সে সময় স্থানীয় প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।পিতা-পুত্রকে গুরুতর জখমাবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের স্বজন মাওলানা এনামুল হক ও মো.ছৈয়দুল জানান,জামাল উদ্দিন ও তার বাবা কলিম আবদুল হাকিম ও ছেলে আফলাতুন কায়সার সহ ১০/১২ জন লোক কুপিয়েছে।এতে জামাল উদ্দিন মারা গেছে।কলিমও গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয়দের মারফতে খবর পেয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দল ঘটনাস্থলে যান।নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়,এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) পাবেল মল্লিক।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.আবদুল মান্নান বলেন,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন তিনি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।এ সংক্রান্তে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।