
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নামে সহিংসতার ঘটনা কাভারে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সোনালী আক্তার নামে এক সাংবাদিককে মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঞ্ছিত করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় মারধর ও যৌন হয়রানির শিকার হন তিনি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ তার। দুর্বৃত্তরা ম্যাচলাইট জ্বালিয়ে সোনালীর গাল আগুনে ঝলসে দিয়েছে। সোনালী নারায়ণগঞ্জের সোজাসাপটা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।
শুক্রবার (২৬ জুলাই ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন,পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌণ ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নারী সাংবাদিক সোনালী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া টিটুর দুই সহযোগির নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফতুল্লা থানার বিএনপি নেতা ইকবাল ও মামুন মাহমুদ।
তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। যদিও ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার মধ্যে না। তবে ভুক্তভোগী একজন নারী সাংবাদিক এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়ে কাজ করেছি।
তিনি আরও বলেন,আমরা মনে করি বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও মানবিক। একজন সাংবাদিক তার দায়িত্ব পালনে গিয়ে তাকে এভাবে পাশবিক নির্যাতন করা ঠিক হয় নি। আমরা জড়িতদের কাজ করবো। টিটুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সহিংসতাকারীরা সাংবাদিকদের টার্গেট করার পেছনে কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন বলেন,পুলিশের মতোই সাংবাদিকরাও তাদের র্টাগেট। কারণ পুলিশ আর সাংবাদিকরা যদি না থাকে তাহলে তাদের কাছে অত্যন্ত সহজ রাষ্ট্রিয় কাঠামো ভেঙ্গে দিয়ে ক্ষমতায় আসা। তারা ক্ষমতার লোভে বিভোর।
ডিআই/এসকে