
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোববার (২১ জুলাই) আপিল বিভাগের দেয়া রায়ে বলা হয়, বিধৃত সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিতকরণের প্রতি লক্ষ্য রেখে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়ার জন্য কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
রায়ে আরও বলা হয়, নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদসমূহ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।রায়ে নির্বাহী বিভাগকে অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারিরও নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে রোববার সকাল ১০টার পর কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
এদিকে, কোটা ইস্যুতে আপিল বিভাগের দেয়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের পর এ প্রতিক্রিয়া জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়কে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে দেখছেন তারা।