
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত দুর্গম সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চর বাগুয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আওতায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার সকালে (৮ জুলাই) চর বাগুয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, এন্টাসিড ওআরএস,জিংক ও প্যারাসিটামল বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর স্বাস্থ্য পরিদর্শক গোলাম রসুল, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্য সহকারী জয়নুল আবেদিন, সিএইচসিপি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সরকার,জাহিদুল ইসলাম। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম বন্যাদুর্গতদের কাছে নৌকাযোগে পানিবন্দী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে এবং রোগীদের হাসপাতালে পাঠাতে সাহায্য করছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় শিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ই পি আই কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্যা দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা দিতে বন্যার শুরু থেকে এপর্যন্ত ১৫ টি সরকারি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে। বাংলাদেশ সিএইচসিপি এ্যাসোসিয়েশন উলিপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাউডার মোঃআব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও দুর্গম চরাঞ্চলে স্বাস্থ্য শিক্ষার পাশাপাশি বিনামূল্য ঔষুধ দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার নিরলস চেষ্টা করছি। তথ্য মতে, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরলসভাবে দুর্গত মানুষের নিরাপত্তা, ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া দুর্গত এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে পর্যাপ্ত ঔষধ , ওরস্যালাইন, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় মজুত রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্য কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জনসাধারণের জরুরি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। টানা মৌসুমি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা, ধরলা নদীর বন্যার পানিতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েন দুই লাখ মানুষ। জীবন বাঁচাতে ঘর বাড়ি ছেড়ে অনেকেই বাধঁ রাস্তা ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেন। বন্যার পানির স্রোতে উপজেলার অসংখ্য ঘর বাড়ির ক্ষতির গ্রস্ত হয়েছে।