
টানা কয়েকদিন থেকেই বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫ হাজার পরিবারের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে দুটি স্কুলসহ ৪৫০টি পরিবারের ভিটেমাটি। বুক পানির মধ্যে খেয়ে না খেয়ে এখন কাটছে তাদের জীবন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জের তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশের গ্রামগুলোসহ তিস্তার দুই পাড়ের বিস্তৃত এলাকা বৃষ্টি ও বন্যার জলে থইথই করছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। মাঝখানে থাকা বাড়ি ও পাড়াগুলো যেন দ্বীপের মতো ভাসছে। বানের জলে ডুবে গেছে কৃষকের ৩৩৫ হেক্টর পাট, ৭৭০ হেক্টর আউশ, ৬৯ হেক্টর শাকসবজি ও ১২৪ হেক্টরের আমন বীজতলা।
অনেকেই শুকনো খাবার খেয়েই কাটিয়ে দিচ্ছে দিনরাত। টিউবওয়েলগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। পরিবার-পরিজন ও হাঁস, মুরগি এবং গবাদিপশু নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন বানভাসিরা।
সু্নন্দরগঞ্জ প্রকল্প কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করার জন্য চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া আছে এবং বরাদ্দ পেলে তা বিতরণ করা হবে।
১৫টি ইউনিয়নের ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ১১টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুটি স্কুলসহ ৪৫০টি পরিবারের বাড়িঘর তিস্তারগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এরইমধ্যে ২৯ টন জিআর চাল ও ৪শ শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১শ শুকনো খাবার প্যাকেট ও ১১ টন চাল এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।