ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ
কালিয়ায় সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও গাঁজা সহ আটক ৬
পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে অর্ধগলিত এক আনসার সদস্যদের লাশ উদ্ধার
কবরস্থান দখল করে দালান নির্মাণের অভিযোগ
দৈনিক খবরের আলোর অফিসের সামনে সন্ত্রাসীদের মহড়া
ঘুরতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার ৩
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স:)এর জীবনী
ভারতে পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি নারীকে ৫ বছর পর দেশে ফেরত
বাগমারা ইজরাইল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে পণ্য বর্জনের আহ্বান
নড়াইলের হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার ৮ আসামি গ্রেফতার
রূপগঞ্জে পূর্বাচল টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
আত্রাইয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২৩ বছর পর পবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ‘মুক্তমঞ্চ’ “সংস্কৃতি চর্চায় খুলছে নতুন দিগন্ত”
বাড্ডা থানা যুবলীগের আহবায়ক গলাকাটা কাউসার গ্রেফতার
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা,কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও রেশন পরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন করলো আনসার

বাদীপক্ষের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল হত্যা মামলার আসামীরা গত ৫ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও এখনও বাড়ি ফিরতে পারছে না। বাদী পক্ষের হুমকিতে জামিনপ্রাপ্ত আসামীদের অর্ধশতাধিক পরিবারের অন্ততঃ তিন শতাধিক লোক এখনও বাড়ি ছাড়া। শুক্রবার(২৮জুন) সকালে মোস্তফা কামাল হত্যা মামলার আসামী সাবেক ইউপি সদস্য আকবর হোসেন ওরফে লিপন উপজেলার শংকরপাশা গ্রামে মামা ইউসুফ শেখের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, বাদী পক্ষের লোকজন বলে তাকে খুন করে মোস্তফা খুনের প্রতিশোধ নিবে। গত ১০ মে রাতে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাষীদের গুলিতে খুন হয় মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম শিকদারের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল। এ ঘটনার পর মোস্তফা পক্ষের লোকজন ৫০টি বাড়ী ভাংচুর,গবাদি পশুসহ বাড়ীর সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। হত্যার ঘটনায় মোস্তফার ভাই রিজাউল শিকদার বাদী হয়ে ৩০ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনাম আরো ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৩ জন আসামী জামিনে রয়েছে। ইউপি সদস্য লিপন আরও বলেন, আমাদের পরিবারের মহিলারা গত কয়েকদিন আগে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়িতে উঠতে গেলে মোস্তফার ভগ্নিপতি আকবার মোল্যা ও মতিয়ার মোল্যাসহ তার লোকজন বাধা দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখনও বাদীপক্ষের লোকজন তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাঠ করে যাচ্ছে। হামলার ভয়ে লোকজন বাড়িঘর ফেলে দুই মাস ধরে অন্যত্র বসবাস করছে। তবে হত্যা মামলার বাদীর ভাই শাহাদত শিকদার বলেন, আসামি পক্ষের লোকজনকে বাড়িঘরে উঠতে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং তারা নিজের ইচ্ছায় বাড়িঘর ছেড়ে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, ওই এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। কেউ আইন শৃঙ্খলার অবনতি করতে চাইলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

শেয়ার করুনঃ