ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স:)এর জীবনী
ভারতে পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি নারীকে ৫ বছর পর দেশে ফেরত
বাগমারা ইজরাইল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে পণ্য বর্জনের আহ্বান
নড়াইলের হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার ৮ আসামি গ্রেফতার
রূপগঞ্জে পূর্বাচল টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
আত্রাইয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২৩ বছর পর পবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ‘মুক্তমঞ্চ’ “সংস্কৃতি চর্চায় খুলছে নতুন দিগন্ত”
বাড্ডা থানা যুবলীগের আহবায়ক গলাকাটা কাউসার গ্রেফতার
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা,কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও রেশন পরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন করলো আনসার
বসুন্ধরায় নারীর মরদেহ উদ্ধারে গিয়ে দুই মণ গাঁজা পেল পুলিশ
এবার মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেফতার প্রতারক সিকদার লিটন
পহেলা বৈশাখের পরে মিরপুরে ফুটপাত ও সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান
ডালিয়ার ১৪ বিয়ে: প্রতারণা চলমান
কালিগঞ্জ পিএফজি’র সম্মিলিত কার্যক্রম অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা 

প্রচন্ড গরমে কালীগঞ্জে বেড়েছে ‘তালের শাঁসে’র চাহিদা

প্রচন্ড গরমে কালীগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই।

পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। দাম কম হলেও তাজা ও ফরমালিনমুক্ত তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ার পাশাপাশি মুখের রুচি বাড়ায়। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টি চাহিদাও মিটছে তালের শাঁসে।

কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায়, স্কুল গেইট, কালীগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন মোড়ে প্রতিদিন কাঁচা তাল নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও ওই মৌসুমী ফল বিক্রিতে মেতে উঠে আর ক্রেতারা পায় নতুন স্বাদ, প্রতি পিস তালের শাঁস (কাঁচা তাল) বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের তালশাঁস বিক্রেতা সোহান মীর বলেন- দশ বছর ধরে এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করি বড় তালের বিচি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আমার লাভ হচ্ছে বেশ ভালো। ক্রেতারা মূল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছেন।

তালশাঁস বিক্রেতা পৌর এলাকার বাসিন্দা মোঃ রবি বলেন ৩০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। প্রতি বছরই এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালাই। গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল কিনে গাছ থেকে পেরে এনে শাঁস বিক্রি করেন।

তবে গাছে ওঠে, বাঁধা ধরে পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর।আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পিস শাঁস বিক্রি করা যায়। একটি তাল ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছি (আকার অনুযায়ী)। এতে দিনে প্রায় ৭০০ থেকে ১হাজার টাকা লাভ হয়।ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবার তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের।

শেয়ার করুনঃ