
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপের ভোট গ্রহন। নান্দাইল উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের ১২৬টি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষে নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মাহফুজুল আলম মাসুম ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল সকল
ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের সরঞ্জাম ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দায়িত্বরত ১২৬ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৯১৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১৮৩৬ জন পোলিং অফিসার সহ রয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্য। মোট ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০ ভোটারের বিপরীতে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫২১ এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৩২। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছে ৭ জন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী একের অপরের প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম শাহান এবং আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক ভূইয়া ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে আছেন নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী নাজিম উল্লাহ লিটন । অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন, যথাক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিয়া পাখি প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার হাসান জিটু, তালা প্রতীকে নান্দাইল উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক শফিউল আলম রাসেল ওরফে রাসেল মুন্সী, উড়োজাহাজ প্রতীকে সাবেক প্যানেল মেয়র শাহ আলম হেলিম মাহিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে হাঁস প্রতীকে বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা জুয়েল ও ফুটবল প্রতীকে নান্দাইল উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত আহবায়ক
মোছা. তাছলিমা বেগম তামান্না। তবে এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও বিএনপি-জামাত বা অন্যান্য দলের কোন প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। ফলে নির্বাচনে সকল প্রার্থীরাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। তবে সাধারণ ভোটাররা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যাতে করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে পারে।