
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক এনাম বলেন, দেশের এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট মুহূর্তে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জাতির এই দুঃসময়ে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তার সেই স্বাধীনতার ঘোষণা ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সেই মহান নেতার আদর্শের অনুসারী আমরা। শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত হননি, দেশমাতৃকার টানে সম্মুখ যুদ্ধও করেেছেন। সেদিন যে কাজটি আওয়ামীলীগ নেতাদের করার কথা ছিল, সেটি শহীদ জিয়াই করেছিলেন। কিন্তু সে সময় তারা দেশকে বিপদে ফেলে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদে ছিল।
তিনি শুক্রবার (৩১মে) বিকাল ৪টায় পটিয়ার কৈয়গ্রাম এলাকায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান – বীর উত্তম এর ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্দোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
পটিয়া পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সওদাগরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এনামুল হক এনাম এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মফজল আহমদ চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম জসীম উদ্দীন, সৈয়দ মনির আহমদ সেলিম, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম শফিক, সাইফুদ্দিন আহমেদ, হাজী কামাল উদ্দীন, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ, তৌহিদুল আলম, হাজী আবুল কাশেম, আবদুল মাবুদ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান পিয়ারু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব নাসির উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি।
এনামুল হক এনাম আরও বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে ধ্বংস করে দেশের গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করে রেখেছে। এই বাক্সেবন্দি গণতন্ত্র ফেরানো আজ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এখনই আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা হাজী ইব্রাহিম সওদাগর, আজমল হোসেন জামাল, মাহাবুবুল আলম, শরীফ উদ্দীন চৌধুরী, আবদুর রহিম, মাহাবুল আলম, মোঃ ফিরোজ, আকতার হোসেন মেম্বার, দিদারুল আলম, আবদুল আলম মেম্বার, হাফেজ আহমদ, নুরুল আবছার চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুস, আবুল হোসেন বাবুল, মন্জুর আলম আলমদার, মোঃ সেলিম সিকদার, জসীম উদ্দীন, মোঃ আবছার, নাজিম উদ্দীন, হাজী নুরুল আলম, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, আবদুল ওহাব মুন্সি, হাফেজ সোলাইমান, দিদারুল আলম, মোঃ ইছাক, লুৎফুর রহমান মেম্বার, মোহাম্মদ আনোয়ার, জসীম উদ্দীন, আবদুল আলীম, বাদশা মেম্বার, মোহাম্মদ সাদেক, পৌরসভা বিএনপি নেতা জসীম উদ্দীন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ফরিদুল আলম, নাজিম উদ্দীন, আবদুল করিম, মোঃ আবু, জিয়াউল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সেলিম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত ইয়াসিন, সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু, পৌরসভা যুবদলের হাবিবুর রহমান রিপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ওবায়দুল হক রিকু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাহেদ, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর সাইফু, পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি আবছার উদ্দীন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম হোসন নবী টুটুল, মোঃ সোলাইমান, হেলাল উদ্দিন এরশাদ, জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউল হক জিয়া, কফিল উদ্দিন, পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাবলু, হাজী টিংকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাকসুদুল হক রিপন, ওসমান আহমেদ শান্ত, পৌরসভা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ইমরান, রিয়াজুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ বেলাল, শাকিল উদ্দীন, আরমান, শাকিব, উপজেলা ছাত্রদল নেতা সেকান্দর হোসেন ডেভিড, মোহাম্মদ হাবিব, মোহাম্মদ কায়ছার, মনির উদ্দীন নয়ন, আকিব রায়হান, মোহাম্মদ ফারুক, রাসেল, হাসান সিকদার আজিজুর রহমান শাহিন, মোঃ আদর, সেকান্দর হোসেন রমজান, আরমান চৌধুরী, মোঃ ইরফান প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন পটিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা হাফেজ সোলাইমান।