
রাজধানীর তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া শিয়া মাজার এলাকায় রনির মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় থাকেন মোরশেদ। বাসার মালিক রনি এবং তার বন্ধুদের ‘যন্ত্রনায় ঘুমাতে না পেরে’রনিকে ভাড়াটিয়া মোরশেদ ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
এ ঘটনায় রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোরশেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
মোহাম্মদ মহসীন বলেন,রনি হত্যা মামলার আসামি মো. মোরশেদ আহম্মেদ (৩৭) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চর ভাটিয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোরশেদ জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার চর ভাটিয়ালি গ্রামের মৃত শহীদ আহম্মেদের ছেলে।
তিনি বলেন,মোরশেদ যে বাসায় ভাড়া থাকেন রনির সেই বাসার মালিক। রনি এবং তার বন্ধুদের ‘যন্ত্রনায় ঘুমাতে না পেরে’ রনিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন মোরশেদ।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন,মোরশেদ তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া শিয়া মাজার এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকেন সেই বাসার মালিক রনির পরিবার। মোরশেদকে যে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয় সেই কক্ষেই রনি ও তার বন্ধুরা তাস খেলেন,মাদকসেবন করেন। তাদের এই খেলার জন্য মোরশেদকে প্রায়ই দেরিতে ঘুমাতে হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাকবিতণ্ডাও হয়। গত ২৫ মে রাতেও সেই কক্ষে রনি তার বন্ধু মশিউর, বায়জুদুল ইসলাম,একিন,অবিতকে নিয়ে খেলছিলেন। পরে মোরশেদ আসার পর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মোরশেদ ছুরি দিয়ে রনিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় রনির বন্ধুরা চিৎকার করলে রনির ভাই রফিক ছুটে আসেন।
তিনি বাধা দিতে চাইলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মোরশেদ। গুরুতর আহতাবস্থায় রনি ও রফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই জামালপুর পালিয়ে যান মোরশেদ। পরে পুলিশ কৃষক এর ছদ্মবেশে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
ডিআই/এসকে