
সামাজিক সকল অপরাধের মূলহোতা হচ্ছে জুয়া ও মাদক। জুয়া ও মাদকের কবলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ সহ আগামী প্রজন্ম। আর সেই জুয়া ও মাদককে সমাজ থেকে নির্মুলের মাধ্যমে সভ্য সমাজ গঠনে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। ঠিক তেমনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাকে জুয়া ও মাদক মুক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মজিদ। যোগদানের পর থেকে ৫ মাস ১৩ দিনে ১০২জন অপরাধীকে গ্রেফতারের মধ্যে মাদক আইনে ৪৪জন আসামী, জুয়া আইনের প্রসিকিউশনে ৫০ জন আসামী ও জুয়া আইনে ৮জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। এছাড়া ১৯জন ভিকটিম উদ্ধার, ১৮টি অটোরিকশা, ৮টি ট্রাক-মিনি-পিকআপ, ১টি মোটরসাইকেল, ৪২টি মোবাইল ও
২২২ বস্তা ভারতীয় চিনি ও চোরাই ৫৪১০ টাকা উদ্ধার করেছেন। পাশাপাশি ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ৪৩৯ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ৭ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। জানাগেছে, গত ১০ই ডিসেম্বর ওসি আবদুল মজিদ যোগদানের সময় তিনি জুয়া ও
মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। এছাড়া জুয়া ও মাদক নির্মূলে নান্দাইল আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল অব:আব্দুস সালাম আরসিডিএস পিএসসি’র নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ
সুপার ও গৌরীপুর সার্কেল অফিসারের সহযোগিতায় জুয়া ও মাদক অপরাধীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিদিন উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুয়া, মাদক, চোরাকারবারী ও বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করছেন। তাছাড়া উক্ত অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দিচ্ছেন না। ফলে জুয়া ও মাদক কারবারীরা এখন অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে কমেছে সন্ত্রাস, অস্ত্রের ঝনঝনানি, মাদক, কিশোর অপরাধ সহ সকল প্রকার অপরাধ। বেড়েছে সেবার মানও। দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের আচরণে মুদ্ধ হচ্ছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। আর এটাই হচ্ছে বর্তমান ওসির আন্তরিকতার সুফল। ধনী-গরীব সবার জন্য এই ওসির দরজা সর্বদা উম্মুক্ত। বর্তমানে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় থানা এলাকায় জুয়া, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকাবাসী ওসির প্রশংসা
করেছে। এছাড়া আইনশৃক্সখলা স্বাভাবিক রাখতে জরুরী ভিত্তিতে তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং কমিটিকে সতেজ করে চলেছেন। নান্দাইল মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, মানুষের সেবা ও আইন-শৃক্সখলা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি মানবতা ও মানবিক দৃষ্টি কোণ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করেতে চাই। পুলিশকে যদি অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়, তাহলে পুলিশ এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে। তাহলে এ দেশ একদিন অপরাধ মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হবে।