
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহের পর বিভিন্ন জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে চরম মনোভাবাপন্ন আবহাওয়ার কবলে থাকা পাহাড় ঘেড়া সমুদ্রের নগরীর বৃষ্টির অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সাথে কিছুটা বজ্রপাত ,ঝড়ো হাওয়ায় সহ বয়ে গেছে প্রশান্তির বৃষ্টি চট্টগ্রাম নগরীতে।
৬ এপ্রিল সোমবার বিকাল ৩ টা থেকে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রপাত সেই সাথে প্রবল বর্ষণ, সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে তীব্র গরম থেকে আপাতত স্বস্তি মিলেছে জনসাধারণের মাঝে।এক ঘন্টার প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আগ্রাবাদ,বহাদ্দার হাট,শুলকবহর ও চকবাজার এলাকার সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ফলে সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট।এসময় প্রচন্ড বেগে বাতাসের কারনে নগরীর জাকির হোসেন রোডে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার খুঁটি সহ রাস্তায় পরে যায়। তবে তেমন কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকায়।
অন্যদিকে নগরীর খালের আশেপাশের নিচু এলাকায় বৃষ্টির পানির সাথে খালের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ও ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনা একাকার হয়ে ছড়িয়ে পরায় ভোগান্তিতে পরেছে এলাকার বাসিন্দারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে , বৃষ্টি চলে আসায় আগামী এক সপ্তাহ তাপমাত্রা আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বিচ্ছিন্নভাবে এই এক সপ্তাহ সারাদেশে বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে।
এক সপ্তাহ পরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে তবে তা সাম্প্রতিক সময়ের মত তীব্র হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়েরও সম্ভাবনা থাকায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
সোমবার খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা পড়তে পারে।
এছাড়া একইসময়ে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অধিকাংশ জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।