
প্রথম ধাপে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ র্নিবাচনের আর বাকি ৪ দিন। আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে এই উপজেলা পরিষদ র্নিবাচন। গত ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় র্প্রাথীদের প্রচারণা।তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের র্নিবাচনে র্প্রাথীদের মাঝে প্রচারণার কোন আমেজ দেখা যায়নি। সড়ক-মহাসড়কের ধারে, হাটবাজার এবং গুরুত্বর্পূণ স্থানে র্প্রাথীদের পোস্টারের দেখা মিলেছে তুলনামূলক কম। মাইকে প্রচারণার শব্দও যেন শোনা যাচ্ছে মাঝেমধ্যে। সব মিলিয়ে যেকোনো র্নিবাচনে র্প্রাথীদের মাঝে যে প্রচারযুদ্ধ দেখা যায়, তার ছাপ পড়েনি
ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ র্নিবাচনে।এই উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। তারা হলেন,আনারস প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শুভ রহমান চৌধুরী, কাপ পিরিচ প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আইনজীবী রবিউল ইসলাম, টেলিফোন প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম এবং মোটরসাইকেল প্রতীকে উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সিনিয়র সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন।প্রচারণা শুরুর পর থেকেই জাঁকজমকর্পূণ কোন পথসভা ও উঠান বৈঠকসহ অন্য কোন প্রচারণায় দেখা যায়নি র্প্রাথীদের। অনেক ভোটারের অভিযোগ
ভোট গ্রহণের দিন ঘনিয়ে আসলেও, অধিকাংশ র্প্রাথীর মুখই তারা
দেখেননি। অনেকে আবার র্প্রাথীর নাম শুনেছেন, তবে চেনেন না। এছাড়াও দিনের বেলা অনেক র্প্রাথীর দেখা পাওয়া দুষ্কর। তবে সেই তুলনায় গভীর রাত র্পযন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট র্প্রাথনা করতে দেখা যাচ্ছে র্প্রাথীদের। কারণ হিসেবে র্প্রাথীরা বলছেন, রোদের প্রখর তাপে বাহিরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে।তাছাড়াও প্রচ- গরমের কারণে ভোটাররাও কথা শুনতে বিরক্ত বোধ করেন।গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্য রাত র্পযন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, র্প্রাথীরা ৫ থেকে ৭টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে যাচ্ছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ভোটারদের কাছে ভোট র্প্রাথনা করছেন।ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কাদিমনগর গ্রামের ভোটার আব্দুল ওয়াহাব। তিনি বলেন, ‘আগে র্নিবাচনে দেখতাম র্প্রাথীদের হিড়িক পড়ত। আর এখন আমরা ভোটাররা র্প্রাথীদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। তবুও দেখা পাওয়া যায় না।’সাহেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সেকেন্দার আলী বলেন, ‘লোক মুখে শুনতেছি চেয়ারম্যান র্প্রাথী ৪ জন। এদের মধ্যে শুভ চৌধুরীকে আগে থেকে চিনি। বাকি তিনজন অপরিচিত। তাদের ছবি শুধু পোস্টারে দেখতেছি। তবে এখনও
র্পযন্ত তারা কেও ভোট চাইতে আমাদের এলাকায় আসেনি।’ ঘোড়াঘাট উপজেলা র্নিবাচন র্কমর্কতা শাহীনুর আলম বলেন, ‘এই
উপজেলায় র্নিবাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের তেমন কোন অভিযোগ কোন র্প্রাথীর বিরুদ্ধে পাওয়া যায়নি।শুরুর দিকে একজন চেয়ারম্যান র্প্রাথীর বিরুদ্ধে অপর আরেকজন র্প্রাথী একটি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। আমরা সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কমিশনের র্নিদেশনা অনুযায়ী সুন্দর পরিশেষে ভোট গ্রহণ শেষ করতে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি আমরা সুন্দর একটি র্নিবাচন উপহার দিতে পারব।’