
মাদক ব্যাবসাকে ঘিরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় পাভেল হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতরিক্ত কমিশনার(গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও ৫ জনকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো,মো.রায়হান বাবু (২৪),মো.সোহেল তোতা মামা (২৪).মো.বাচ্চু কাজল বাচ্চু (২৩),হাবিব (২৮)।আনিস (২২),মিলন হোসেন (৩৭),শাহাবুদ্দীন (২৮) এবং সোহান ইসলাম (২৬)।
এ সময় এই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি আর.টি.আর মোটরসাইকেল জব্দকরা হয় বলেও জানানো হয়।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল,বরগুনা ও বরিশাল মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় হত্যা মামলার আসামি মো.রায়হান বাবু,মো. সোহেল তোতা মামা ও মো.বাচ্চু কাজল বাচ্চুকে গ্রেফতার করে।
হারুন অর রশিদ বলেন,আমাদের টিম সিরাজগঞ্জ বরগুনা বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের মধ্যে তিন জনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হত্যাকান্ডে যে হোন্ডাটা ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশও বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ মিলিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন,এই হত্যাকান্ডটা আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যাবসাকে ঘিরে ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে যে ভিক্টিম পাভেলকে তারা হত্যা করেছে সেও কিন্তু ২২ ডিসেম্বর আসামি হাবিবের উপর আক্রমণ করেছিল। সে সময় এই হামলা সংক্রান্ত একটি মামলাও বাড্ডা থানায় রজু হয়েছিল। সেই মামলায় পাভেল জেলও খেটেছিল। জেল থেকে বের হওয়ার পরে ভিক্টিম পাভেলকে একটা হোন্ডায় করে তাজমুল এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে আসামিরা মিলে তার উপর আক্রমণ করে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মিত্যু নিশ্চিত করে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন,এ ঘটনায় ভিক্টিম পাভেলের মা পারুল বেগম পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছে। সেই মামলার সুত্র ধরে আমাদের ডিবি টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৩ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে। অন্যান্য৷ আসামিকেও থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও পল্লবী জোনাল টিমের টিম লিভার মো.রাশেদ হাসান বলেন,এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ছিল মূলত মাদক ব্যাবসাকে ঘিরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। মাদক ব্যবসা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার করতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভিক্টিম পাভেলকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে পূর্বসত্রুতার জের ধরে গত ১৪ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে আসামি মো.হাবিব,মো.হানিফ,মো. আনিছ,মো.রায়হান বাবু,মো.মিলন,মো.জহিরসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামী পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম পাভেলকে ডেকে নিয়ে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২,স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকের বাড়ি নামক স্থানে গনপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উল্লেখিত আসামি সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামীরা ভিকটিম পাভেল এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা পলিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিক্টিম পাভেল মারা যায় এবং ভিকটিমের মা মোছাঃ পারুল বেগম পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিআই/এসকে