
প্রিয় পটুয়াখালী বাসী। আসসালামু আলাইকুম। আমার বাবা তিন মাস পর্যন্ত অসুস্হ অবস্হায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত ২১ অক্টোবর ভোরে আমার বাবা আমার হাতের উপর মারা যান।
২২শে অক্টোবর পটুয়াখালী ১ আসন জাতীয় সংসদে শূন্য আসন ঘোষনা করা হয়। ২৩শে অক্টোবর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষনা করেন। বাবার মৃত্যুর শোক না কাটতেই নির্বাচন। বাবা মারা যাবার আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে যান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা মানবতার মা, বিশ্বনেত্রী,দেশরত্ন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডের কাছে মনোনয়ন চাইতে। সেই অনুযায়ী পটুয়াখালীতে এসে বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম করি।
বাবার জনপ্রিয়তা দেখে বিস্মিত হই। ব্যাপক দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন পাই। বাবার মৃত্যুর পর হাজার হাজার মানুষ জানাযায় উপস্হিত হন। পটুয়াখালীর মানুষ দলমত নির্বিশেষে আমার বাবাকে ভালোবাসতেন। সেটার প্রমান আমার বাবার জানযায় মানুষের উপস্হিতি। আমি রাজনীতির পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি। তাই রাজনীতির শেষ বলতে কিছু নেই। আমার বাবার কাছ থেকেই আমি শিখেছি। তাই সবাইকে ধৈর্য্য ধারন করার অনুরোধ করছি।
আমার পরিবার একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবার। এই পরিবারের সুনাম নষ্ট করা যাবে না। এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে আমার বাবার আত্বা কষ্ট পাক। আমার বাবার সততা, নিষ্ঠা, শ্রম, কষ্ট ও সুনাম নষ্ট না হয়।
সবাইকে সেই অনুরোধ করছি। তাই আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এইটুকু বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চুরান্ত। আপনারা সবাই নেত্রীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবেন।
দলের ও নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকাকে জিতিয়ে আনবেন। আমরা যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি তাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে আমাদের নেত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই আমাদের সার্থকতা।আমাদের নেত্রী যদি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, আর দল যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে, তাহলে আমাদের কোন মূল্য থাকবে না।
তাই সবাইকে অনুরোধ করছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করে বিজয়ী করতে। আবার দেখা হবে রাজপথে, শ্লোগানে শ্লোগানে। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।copy Md. Tarequzzaman Moni