ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ
কালিয়ায় সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও গাঁজা সহ আটক ৬
পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে অর্ধগলিত এক আনসার সদস্যদের লাশ উদ্ধার
কবরস্থান দখল করে দালান নির্মাণের অভিযোগ
দৈনিক খবরের আলোর অফিসের সামনে সন্ত্রাসীদের মহড়া
ঘুরতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, গ্রেফতার ৩
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স:)এর জীবনী
ভারতে পাচারের শিকার ৬ বাংলাদেশি নারীকে ৫ বছর পর দেশে ফেরত
বাগমারা ইজরাইল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে পণ্য বর্জনের আহ্বান
নড়াইলের হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার ৮ আসামি গ্রেফতার
রূপগঞ্জে পূর্বাচল টিভির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
আত্রাইয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২৩ বছর পর পবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ‘মুক্তমঞ্চ’ “সংস্কৃতি চর্চায় খুলছে নতুন দিগন্ত”
বাড্ডা থানা যুবলীগের আহবায়ক গলাকাটা কাউসার গ্রেফতার
ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা,কর্মমুখী প্রশিক্ষণ ও রেশন পরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন করলো আনসার

৬৫০ টাকায় মাংস বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্ট: পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ন্যায্য মূল্যে গরুর মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ন্যায্য মূল্যে পন্য সামগ্রী ক্রয় করছেন। বিক্রয়ের দ্বিতীয় দিনে ন্যায্য মূল্যে ৩৭০ কেজি গরুর মাংস, ২০০ লিটার দুধ ও ২০০০ পিস মুরগীর ডিম বিক্রি করা হয়েছে৷

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিক্রয়ের প্রথম দিনে ২০০ কেজি গরুর মাংস, ১২শ পিস ডিম এবং ৫০ লিটার দুধ বিক্রি করা হয়েছে। এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে পটুয়াখালী শহরের সোনালী ব্যাংক মোড়ে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

পটুয়াখালী জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, এই কার্য ক্রমের আওতায় এখন থেকে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি, মুরগির ডিম প্রতি পিস ৯ টাকা এবং গরুর দুধ প্রতি লিটার ৬৫ টাকা দরে যে কেউ কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি গরুর মাংস, ২ দুই লিটার গরুর দুধ ও ১ ডজন মুরগীর ডিম সংগ্রহ করতে পারবেন।

মাংস কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, আমাদের র পক্ষে সম্ভব না মাংস কিনে খাওয়ার মতো কারন বাজারে তো ৮’শ থেকে সাড়ে ৮’শ টাকায় মাংস বিক্রি হচ্ছে। আমি দুই দিনে যা ইনকাম করি তা দিয়াও এক কেজি মাংস কেনা সম্ভব না। কিন্তু এখানে ৬৫০ টাকায় মাংস বিক্রি হচ্ছে শুনে আসলাম এবং ১ কেজি মাংস কিনলাম। যদি পুরো রমজানের শেষ পর্যন্ত এভাবে বিক্রি করতো তাহলে আমরা অন্তত এই কয়দিন গরুর মাংস খাইতে পারতাম।

জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা এখানে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস, ৬৫ টাকায় ১ লিটার দুধ ও ৯ টাকা পিচ মুরগীর ডিম বিক্রি করছি। এক্ষেত্রে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি গরুর মাংস, ২ লিটার দুধ ও ১ ডজন মুরগীর ডিম সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া আমাদের স্যারদের নির্দেশ আছে যদি কেউ ২০০ গ্রাম মাংসও কিনতে চায়, তাকেও যাতে মাংস দেওয়া হয়। আমরা সেভাবেই বিক্রি করছি।

পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সরকারের নির্দেশনা হচ্ছে বাজার ক্রয় ক্ষমতা নিম্ন আয়ের মানুষের সহনশীলতার মধ্যে থাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা সাধ্য মতো চেস্টা করছি। আশা করছি আমাদের এমন উদ্যোগে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। এখানে যে গরু জবাই করা হয় তা আমাদের ডাক্তার দ্বারা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে সুস্থ থাকলেই জবাই করা হয়। আমাদের উদ্যেশ্য জনগণের হাতে নিরাপদ আমিষ পৌঁছে দেয়া।

জেলা প্রশাসক মোঃ নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও পাশপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি ব্যাবসায়ীদের সচেতন করছি। আজ থেকে চালু হওয়া এই ন্যায্য মূল্যের স্টল থেকে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ডিম, দুধ এবং গরুর মাংস কিনতে পারবেন। আমরা উদাহরণ সৃষ্টি করলাম, ভবিষ্যতে এই পরিসর বড় করতে চাচ্ছি।

শেয়ার করুনঃ