চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ জাতি যখন দিক নির্দেশনাহীন ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আবির্ভাব ঘটেছিল। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু আজকে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছেন। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। মুক্তিযুদ্ধে যাদের কোন অবদান নাই তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখছে। আওয়ামী লীগ একটি মধ্যযুগীয় মোড়ল।
তিনি মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রথম প্রহরে রাত ১২.০১ মিনিটে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোল শহর ২নং গেইটস্হ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যানের বিপ্লব বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম।
আবু সুফিয়ান আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মানুষকে গনতান্ত্রিক স্বাধীনতার জন্য রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন আর চলবে না। জোর করে ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে না। খুব অচিরেই এই অন্ধকার- কালো- বর্বর শাসনের অবসান হবে। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। মানুষ আবার স্বাধীন ও মুক্তভাবে তাদের মতপ্রকাশের সুযোগ পাবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক এবং রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের ইতিহাস তাঁর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু শহীদ জিয়া বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছেন। তিনি শুধু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই নন, একজন সফল রাষ্ট্রপতি এবং আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা। ডামি সরকারের প্রতিহিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার সৃষ্টি করছে। শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত সকল স্হাপনাকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামীলীগের প্রতিহিংসার অনলে বিএনপি নয়, তারা নিজেরাই পুড়বে। কোটি জনতার হৃদয় থেকে শহীদ জিয়াকে মুছে ফেলা এত সহজ নয়।
বিপ্লব বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন, এড, নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, এড, ফৌজুল আমিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবাহ উদ্দিন জাহেদ, হুমায়ুন কবির আনসার, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, এড, কাশেম চৌধুরী, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মন্জুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দীন চৌধুরী, ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ,জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা হাফেজ জাবের হোসাইন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ লোকমান, ইব্রাহিম খলিল চেয়ারম্যান, মোর্শেদুল শফি হিরু, হাসান চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন, মোঃ মারুফ, জহুরুল আলম শহীদ, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহসিন চেয়ারম্যান, এডভোকেট শওকত ওসমান, আপিল উদ্দীন, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, পলিটেকনিক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুবদল নেতা হাজী আবদুল মন্নান তালুকদার, হাসান আলী, মোজাম্মেল হক, দৌলত আকবর, আবদুল মাবুদ, আবু আহমেদ, হারেস আহমেদ, আজম খাঁন, রাসেল চৌধুরী, কাজী মোস্তাক, অহিদুল আলম পিবলু,ইন্জিনিয়র আবুল কালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুস সবুর, মাসুদ সিকদার, আতাউর রহমান কায়সার, রাশেদুল আলম, শামসুল আলম সুমন,শহীদুল্লাহ ফরহাদ, নাঈম উদ্দিন চৌধুরী আতিকুর রহমান আতিক, ওবাইদুল হক রিকু, আবদুল কাদের, ওসমান আহমেদ শান্ত, জেলা ছাত্রদল নেতা মো: ফিরোজ, আবদুস সবুর, মো: মহিউদ্দিন, মো: সেলিম, এস এম তৈয়ব, আরিফ, মো: মহিন উদ্দিন, আবদুল্লা আল নোমান জিহাদ প্রমূখ,
