
ঈদযাত্রায় কোনোভাবেই ঝুঁকিপূর্ণ কোনো ধরনের যানবাহন চলতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো.শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেছেন,ঈদ যাত্রায় কেউ পণ্যবাহী যানবাহনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনের ছাদে, খোলা ট্রাক বা পিকআপে উঠতে পারবেন না। আমরা কোনোভাবেই এবার অনিরাপদ ঈদযাত্রা সহ্য করবো না। আমরা এবার হাইওয়ে পুলিশ সড়কে কঠোর থাকবো। যারা অনিরাপদ যানবাহনে যাত্রী উঠাবেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর, ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মহাসড়ক/সড়ক পথে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন,নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) হাইওয়ে পুলিশের উদ্যোগে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো.শাহাবুদ্দিন খান বলেন, মালিক শ্রমিক ভাইদের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ আপনারা এই মতবির সবাই দায়িত্ব নিয়েছেন, এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায় করতে বলেছেন দায়িত্ব নেবেন।
আমার বিশেষ অনুরোধ আপনারা যে দায়িত্ব নিয়েছেন সেটি পালন করুন। কোনো ধরনের ফিটনেসবিহীন, অনিরাপদ, লক্করঝক্কর যানবাহন বা বাস সড়কে যেন না চলাচল করে। আমরা কঠোর থাকবো৷ ফিটনেস না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
শাহবাবুউদ্দিন আরও বলেন,পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন, অনিরাপদ,লক্করঝক্কর যানবাহন বা বাসে যাতে কোনো যাত্রী না উঠেন সে আহ্বান রেখে পুলিশের এ অতিরিক্ত আইজিপি বলেন,আমাদের জেলা পুলিশ,মেট্রোপলিটন পুলিশ,হাইওয়ে পুলিশ,শিল্প পুলিশসহ সবাই মিলে এই ঈদযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। আমাদের এবারের সুস্পষ্ট বক্তব্য কোনোভাবেই ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবার চলবে না।
অনিরাপদ যাত্রার কারণে আনন্দের ঈদ নিমিষেই বিষাদে রুপ নিতে পারে। সেটি সবাইকে ভালভাবেই এবার প্রচার-প্রচারণায় তুলে ধরা হবে।
এবারের ঈদ যাত্রায় সকল ধরণের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও পরিবহন মালিক শ্রমিক পক্ষ টার্মিনালে থাকবে, থাকবে মোবাইল কোর্ট। আশা করছি এবার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কোনোভাবেই করতে দেয়া হবে না।
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান আরও বলেন,চলমান রমজান, আসন্ন ঈদে এবার সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করবে হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য অনিয়ম কোনো ব্যত্যয় করবে না। প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ নানান ধরণের পদক্ষেপের মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে আমরা প্রস্তুত করেছি। এরপরও যদি কোনো সদস্য ব্যত্যয় ঘটান,অনিয়ম করেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
তিনি বলেন,থ্রিহুইলার মহাসড়কের একটা বড় সমস্যা। যানজট ও দুর্ঘটনার বড় কারণ। উচ্চ আদালত কর্তৃক এসব নছিমন,করিমন,ভটভটি মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ। অনেক ধরণের চেষ্টা স্বত্বেও আমরা মহাসড়ক থেকে এসব প্রত্যাশিত মাত্রায় কমাতে পারিনি। এরমধ্যে যদি এসব ঈদযাত্রায় মহাসড়কে নামে তবে তা হবে ঝুঁকির। এজন্য প্রত্যেক জেলার পুলিশ সুপার ও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের দায়িত্ব নিতে হবে।
সভায় বিজিএমইএ;বিকেএমইএ; চেয়ারম্যান/জেনারেল সেক্রেটারি,বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশন; মহাসচিব,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি; সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন; সহ-সভাপতি,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন;সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক,ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি; চেয়ারম্যান/জেনারেল সেক্রেটারি,ঢাকা বাস-ট্রাক ওনার্স গ্রুপ; সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/সহ-সভাপতি,বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি;সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক,বাস মালিক সমিতিসহ হাইওয়ে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
ডিআই/এসকে