
গণপূর্ত বিভাগ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর বাংলাদেশে নির্মাণ অঙ্গনের পথিকৃত। প্রায় দুই শত বছর ধরে গণপূর্ত অধিদপ্তর দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মান নির্ধারণ করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়া অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর প্রকল্প বাস্তবায়নেও এর ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম । গণপূর্ত অধিদপ্তরে সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারসহ একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল রয়েছে।
এছাড়াও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিরা এদের পাশাপাশি কাজ করে থাকেন। বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা পেশাদারিত্ব ও কাজের মান গণপূর্ত অধিদপ্তরের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। তাই যেকোনো নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর ই সবার প্রথম পছন্দ। সরকারের প্রধান নির্মাণ সহযোগী প্রতিষ্ঠান হওয়া ছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এটি প্রতিনিয়ত দেশের নির্মাণ শিল্পে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহের তদারকি ও গতিবৃদ্ধি করে যাচ্ছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছেন লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের নব যোগদানকৃত আক্তার হোসেন।
টেকসই উন্নয়নকে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল রিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯৯২ সালে রিও দি জেনেরিও আর্থ সামিটে । ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (২০১৫ থেকে ২০৩০) গ্রহণ করে।ইউএনজিএ এর ১৭টি লক্ষ্য; দারিদ্র্য, অসমতা, জলবায়ু পরিবর্তন,পরিবেশগত অবক্ষয়, শান্তি এবং ন্যায়বিচার সহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা।
১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক বিশ্ব কমিশন আওয়ার কমন ফিউচার রিপোর্ট প্রকাশ করে, যাকে সাধারণত ব্রুন্ডল্যান্ড রিপোর্ট বলা হয়।প্রতিবেদনে “টেকসই উন্নয়ন” এর একটি সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে এমন উন্নয়ন যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিজেদের চাহিদা মেটাতে সক্ষমতার বজায় রেখে বর্তমানের চাহিদা পূরণ করে। গণপূর্ত বিভাগ সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
আক্তার হোসেন জুন ২০১২ সালে ৩০তম বিসিএস সফল হয়ে গণপূর্ত বিভাগে ঢাকা ডিভিশন -৩, এ সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে প্রথম পোস্টিং পেয়ে যোগদান করেন। তারপর ২০১৭ সালে ঢাকা ডিভিশন ৩, থেকে যশোরে এসডি পদে পদোন্নতি পান।
২০১৮ থেকে ২০১৯ চুয়াডাঙ্গা এসডি পদে সুনামের সহিত কাজ করেন সেখান থেকে ২০১৯ থেকে ২০২০ মুন্সীগঞ্জ এসডি পদে জয়েন করেন। তারপর ২০২০ থেকে ২০২২ ঢাকা রাজারবাগ এসডি পদে কর্মরত ছিলেন । ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ফেণীতে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আবারও পদোন্নতি পান।বর্তমানে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলাতে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি গণপূর্ত বিভাগ লক্ষ্মীপুর জেলায় ৩০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করেই উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের চিত্র।
ইতিমধ্যে যেসকল উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন তারমধ্য উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে,রামগঞ্জ মডেল মসজিদ যার নির্মাণ ব্যয় ১৫ কোটি টাকা এটি চলতি মাসেই উদ্বোধন করা হবে।রামগতি মডেল মসজিদ যার নির্মাণ বরাদ্দ ১৫ কোটি টাকা।কাজ শুরু হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ কাজের মেয়াদকাল ১৮ মাস; কাজটি চলমান রয়েছে। জেলা সদর মডেল মসজিদ যার নির্মাণ ব্যয় ১৭ কোটি টাকা এবং এটি চলতি মাসেই উদ্বোধন করা হবে।২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লক্ষ্মীপুর মডেল সরকারি হাসপাতাল যার নির্মাণ ব্যয় ৫০ কোটি টাকা। চলতি বছর জুন মাসে উদ্বোধন করা হবে।
আই সো লোশন ৬ কোটি টাকা ;এটিও চলতি বছর জুন মাসে উদ্বোধন করা হবে।আক্তার হোসেন জন্ম গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলায়। তিনি ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ, কুমিল্লা থেকে এসএসসি পাস করে পরবর্তীতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন।তিনি গণপূর্ত বিভাগের সফলতার জন্য সততার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।ভবিষ্যত স্বপ্ন প্রসঙ্গে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ” আমার স্বপ্ন হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাওয়া।”