
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ, ব্যস্ততম ও জনবহুল এলাকা চকবাজার। আর এই চকবাজার থানার আশেপাশে ১০ গজের ভিতরেই মুল সড়কে অবৈধ ভাসমান দোকানপাট ও বিদ্যুৎ খেকো গতি দানব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা দাফিয়ে বেড়াচ্ছে অলি গলি ফেরিয়ে মুল সড়কে।সকাল সন্ধ্যা সড়কে এই সব অটোরিকশার দৌরাত্ম্যের কারণে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ অফিস আদালতে যাতায়াতকারী সাধারণ পথচারীদেরকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভাসমান দোকানদার ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালকরা জানান কখনো শ্রমিক নেতা, থানার এস আই কখনো থানার সোর্স পরিচয়ে অলি উদ্দিন হাওলাদার ও তার নিয়োগকৃত থানা পুলিশের ক্যাশিয়ার পরিচয়ে ভাসমান দোকানপাট ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করে মামুন নামের একজন।প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। যা বর্তমান সিন্ডিকেট ভাগ করছে। বিভিন্ন সুত্রে জানাযায় অলি উদ্দিন হাওলাদার পরিচয় দেন নিজেকে চকবাজার থানা, বাকলিয়া থানা আকবর শাহ থানা এবং পাহাড়তলী থানার ক্যাশিয়ার হিসেবে।
সরকারিভাবে কোন প্রশাসনের পদ পদবিধারী না হলেও নিজেকে থানার অবৈধ ক্যাশিয়ার বলে পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা এসব থানার আশেপাশের ভাসমান দোকানপাট ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা থেকে।প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বর্তমানে এই অবৈধ আয়ে সে গাড়ি-বাড়ি ও ফ্লাট এর মালিক। দীর্ঘদিন যাবত চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা হতে দৈনিক প্রতিটি রিক্সা হতে ২০০ টাকা করে থানার নামে আদায় করেন। এই কাজটি পরিচালনা করছেন তার সহযোগী সোর্স মামুন, রুবেল ও সোহেল।
ইতিপূর্বে চকবাজার থানায় টমটমের চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এস,এম সামাদ। লাইন ম্যানের দায়িত্বে আছে জুয়েল শুক্কুর, সানী সহ একাধিক ব্যক্তি।
বিশেষ সুত্রে আরো জানা যায় এই চাঁদাবাজির টাকার একটি বড় অংশের ভাগ যায় কিশোর গ্যাং এর নেতা এস,এম সামাদের কাছে।বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা এস,এম সামাদ এর অনুসারিদের তরফ হতে। অনুসন্ধানে ক্যাশিয়ার অলির আকবর শাহ থানা এলাকা, পাহাড়তলী থানা এলাকা এবং চকবাজার থানা এলাকার অন্ধকার জগতের ভয়াবহ তথ্য উঠে আসে এই চাঁদাবাজ অলি ও মামুনের বিরুদ্ধে। মামুন মাঝে মধ্যে নিজেকে চকবাজার সোর্স ,থানার এস,আই পরিচয় দিয়ে থাকেন সাধারণ ফুটপাতে বসা ভাসমান দোকানিদের। দীর্ঘদিন যাবত চকবাজার থানার ক্যাশিয়ার পরিচয় দেয়া অলিকে কখনোই আইনের আওতায় আনা হয় না।
একাধিক প্রমাণ থাকার পরেও এই অবৈধ ক্যাশিয়ার এবং চাঁদাবাজদের কেন আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না বিষয়টি এক অজানা রহস্যের সৃষ্টি করেছে জনমনে। অপরদিকে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় ১৭ নং ওয়ার্ড চকবাজার ফুলতলা সড়কের উভয় পাশে খালের বর্জ্য অপসারণ ও ব্রিজের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় সরু সড়কে ভাসমান দোকানপাট ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছোট বড় শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকিতে রয়েছে। শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা জিম্মি হয়ে আছে বেপরোয়া গতির এই সব অটোরিক্সার কাছে।
প্রতিদিন এভাবে ঝুঁকি নিয়ে সরু সড়কে চলাচল করছে হাজারো মানুষ।অথচ বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতগুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই সড়কে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ থানার আশেপাশের এই সব অনিয়মের বিষয়টির উপর প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সুদৃষ্টি দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।