
রাজধানীর গণ পরিবহনে যাত্রীদের শরীরে বমি ছিনতাই চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, বাসে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’ নামে পরিচিত চোরা স্বপন।
গ্রেফতারকৃতের নাম- মো. স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন (৫২)। এই স্বপন বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে।
গতকাল তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে একটি ছুরি এবং ছিনতাই করা টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার ফার্মগেটে থেকে স্বপন তার দুই সহযোগী নিয়ে বাসে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুইজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ আটক স্বপনের কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, স্বপন একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে সবাই তাকে চোরা স্বপন নামেই চিনে। গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করেন। এরপর তিনি নিজেই ‘বমি পার্টি’ করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে উঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরণের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান। তারা যে বমি করেন সেটা কৃত্রিম। চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে এই কৃত্রিম বমি করা হয়। কৃত্রিম এই বমি সবাই করতে পারে না। এই বমি করার ‘প্রশিক্ষণ’ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন।
গ্রেফতার স্বপন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০ টি মামলা রয়েছে।
ডিআই/এসকে