
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। তিনি প্রয়াত শ্রমিকনেতা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ও সাবেক পৌর মেয়র হাসিবুল হাসান লাভলুর স্ত্রী।
২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি মাত্র ৫৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে হাসিবুল হাসান লাভলু মারা যান। তারপর থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় হন ঝর্ণা। তিনি এর আগে ফরিদপুর জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। ঝর্ণা হাসানের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
ঝর্ণা হাসান বলেন, একজন কর্মী হিসেবে দলের সংকট ও সম্ভাবনায় দলের পাশে থেকেছি। দলও আমাকে মূল্যায়ন করেছে। সংরক্ষিত আসনে আমাকে সুযোগ দেওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এলাকার উন্নয়ন ও সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নেত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।
এদিকে, ঝর্ণা হাসান এমপি মনোনীত হওয়ার খবরে বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। তার বাসভবন থেকে আলিপুরবাসীর পক্ষে আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে উদয়ন সংঘে এসে শেষ হয়। এসময় মিছিলকারীরা ঝর্ণা হাসানকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
তাছাড়া ঝর্ণা হাসান সংরক্ষিত মহিলা এমপি হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরাসহ আরও অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান