
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলার সদ্য বিয়ে হওয়া তাছলিমা আক্তার(২২) নামের এক নববধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিন ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামে মৃত আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নববধূ তাছলিমা আক্তার ওই গ্রামের মোঃ
মৃত আব্দুল লতিফ ভূইয়ার সৌদি প্রবাসী ছেলে, মোঃ হামিদুল ভূঁইয়া (২৮)এর স্ত্রী। এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের, বাসুদেব গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা।
নিহত তাছলিমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,
৭/৮ মাস পূর্বে ইসলামিক রিতী অনুযায়ী
পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাছলিমা ও সৌদি প্রবাসী হামিদুলের বিবাহ হয়। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে তাছলিমার স্বামী হামিদুল সৌদি আরব হতে বাংলাদেশে আসে। এবং ৯ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাসলিমাকে হামিদুলের বাড়ীতে উঠাইয়া আনে। শনিবার দিন পুনরায় বউকে নিয়ে শশুর বাড়িতে গিয়ে আবার রোববারে হীরাপুর নিজ বাড়িতে চলে আসে। এই কয়েক দিনেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন এক বিষয় নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জেরে ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার দিকে হামিদুল ভূঁইয়া তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।এবং তার ভাই হানিফ ভূঁইয়াকেও চুরি দ্বারা আঘাত করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
পরে আহত হানিফ মিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে চিকিৎসা জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে সংবাদ দেয়।
জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নূরে আলম তাছলিমাকে গলা কেটে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এবং স্বামী হামিদুলকে গ্রেফতারের সর্বাতক চেষ্টা চলছে। আসামী হামিদুলকে (নিহত তাছলিমার স্বামীকে) গ্রেফতারের পর ঘটনার সঠিক কারণ জানা যাবে।