
মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে নানা লোভনীয় অফার দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করত সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃতের পলি আক্তার (৩৫)।তিনি ইকরা ট্রাভেলস ট্যুরিজম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুকুল আলম।
পলি আক্তার ও তার স্বামী ইমরানের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ৬ ফেব্রুয়ারি মামলা হয়। মামলা নম্বর ০৪।
কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. সেলিম মিয়া নামের এক ভুক্তভোগী এই মামলা করেছেন। মামলায় সেলিম উল্লেখ করেন, ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা, ফারুক আলমেত কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার, সাইকুল ইসলামের কাছ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার, খোরশেদ আলম রানার থেকে এক লাখ, জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে এক লাখ ৪০ হাজার, সালাউদ্দিন ভুইয়া থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার এই ভাবে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্র।
ওসি ফারুকুল বলেন, কাফরুল থানা এলাকা থেকে বিদেশ পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎকারী একটি প্রতারক চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার পলি আক্তার ও তার স্বামী ইমরান মাহমুদ(৪০) দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল।
ভুক্তভোগীদের তারা প্রথমে জানায় মালয়েশিয়া তাদের কোম্পানি রয়েছে এবং সেখানে কিছুসংখ্যক লোক পাঠানো হবে। মালয়েশিয়ার কোম্পানিতে ভালো বেতন ও বছরে দুটি বোনাস এবং থাকা-খাওয়া ফ্রিসহ বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেয় তারা। এমন লোভনীয় কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা তাদের কাছে পাসপোর্ট ও টাকা জমা দেন। পাসপোর্ট ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে এ চক্র ভুক্তভোগীদের সঙ্গে টালবাহানা করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তাদের অফিসে গেলে তারা গালাগালসহ অশোভনীয় আচরণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নিতে গেলে ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশেরও হুমকি দিত তারা। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এমন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আরেকজন ভুক্তভোগী মানিক বলেন- ইমরান ও তার স্ত্রী পলি আক্তার ৭০ টা পাসপোর্ট নিয়েছে বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে। তার বিনিময় মানিকের কাছ থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে প্রতারক চক্র।
ডিআই/এসকে