
ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত থেকে দেশে এসেছে ১০০ মেট্রিক টন আলু। আজ শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মেসার্স মুক্ত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সামিয়া করপোরেশনের মাধ্যমে চারটি ট্রাকে এই আলু আমদানি করা হয়েছে।
এ তথ্য জানান হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে অনুমতির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হিলির ৫০ আমদানিকারক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, ‘দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। বন্দরের ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। ভারত থেকে আলু আমদানি হলে দেশের বাজারে আলুর দাম অনেকটাই কমে আসবে।’
আলু আমদানির খবরে স্থলবন্দরের পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশে আলুর দাম বেড়ে গেলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আমদানি শুরুর খবরে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।
আমদানির খবরে আলুর কেজি ২০ টাকা
ভারত থেকে আমাদনি করা আলু দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পৌঁছেছে। এদিকে আমদানির খবরেই স্থানীয় পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমে গেছে। আগের দিনের তুলনায় কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বর্তমানে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আজ শনিবার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, ‘আজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু এসেছে। সেই খবরে মোকামে আলুর দাম কমে গেছে। আমরা বর্তমানে ২০ থেকে ২৮ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করছি।’ হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্দর দিয়ে ৩৫ হাজার টন আলু আমদানি করা হবে। ৫০ জন আমদানিকারকের মাধ্যমের আলু আমদানি করছে সরকার। আমদানি করা এসব আলু বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করা হবে। দেশে দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সরকার আলু আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আমদানি শুরুর খবরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বন্দরে।