
টানা শৈতপ্রবাহ এবং তীব্র শীতে যখন দিনাজপুরের জনজীবন বির্পযস্ত, তখন অসহায়, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া শীর্তাত মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়াল বাংলাদেশ পুলিশ র্সাভিস এসোসিয়েশন।দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারের র্নিদেশে বাংলাদেশ পুলিশ র্সাভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শীর্তাত মানুষের মাঝে এ সব শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।
রবিবার দুপুরে ঘোড়াঘাট পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মানবিক সহায়তার উপহার হিসেবে কম্বল শীর্তাতদের হাতে তুলে দেন ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। তাপমাত্রার পারদ যখন প্রতিদিন নিম্নমুখী। তখন তীব্র শীতের কষ্ট লাঘব করতে পুলিশের দেওয়া কম্বল পেয়ে খুশি অসহায় মানুষগুলো।কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ। অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) এনামুল হকসহ অন্যান্য পুলিশ র্কমর্কতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কম্বল পেয়ে র্ষাটোধ্ব বৃদ্ধা মজিদা বেগম বলেন, টিনের ঘরে দুকনা কম্বল গায়েত দিয়ে ঘুমাই। ঠান্ডার কারণে ঘুম ধরে না। হামার সন্তানের বয়সের পুলিশ গ্রামের এসে হামাক কম্বল দিয়ে গেল। বাড়ির দুটা কম্বল আর এই একটা কম্বল গায়ত দিলে শীতের হাতত থেকে তাও বাঁচা যাবি।ঘোড়াঘাট বাস র্টামিনাল সংলগ্ন নয়াপাড়া গ্রামের কস্বল হাতে নিয়ে ভাঙ্গা বাড়ির চালার নিচে বসে ছিলেন বৃদ্ধ রমজান আলী। তিনি বলেন, বিকাল বেলা দেখি পুলিশের গাড়ি গ্রামে এসেছে। ভাবলাম হয়ত কোন আসামিকে ধরতে এসেছে। তাছাড়া তো পুলিশের গাড়ি আসার কথা নয়। পরে একজন পুলিশ আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মোটা একটা কম্বল হাতে তুলে দিল।
সকালে শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। এখন এই কস্বল গায়ে জড়িয়ে তাও বের হওয়া যাবে।কম্বল বিতরণ শেষে শীর্তাত মানুষের উদ্দেশ্যে ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আপনাদের শীতের কষ্ট লাঘব করতে পুলিশ বাহিনী মানবিক র্কাযক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার স্যারের র্নিদেশে বাংলাদেশ
পুলিশ র্সাভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আপনারদেরকে উপহার হিসেবে কম্বল দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই মানবিক র্কাযক্রম অব্যাহত থাকবে।