
রাজশাহী তানোরে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর হস্তক্ষেপে রক্ষা পেলো শত বছরের তাজা তেতুল গাছ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে তানোর উপজেলার কলমা ইউপির অমৃতপুর গ্রামের রাস্তার ধারে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, শত বছরের তাজা ওই তেতুল গাছসহ তানোর ভূমি অফিসের ভিতরে থাকা ১ টি বড় শিশু গাছ ও কলমা ইউপির আজিজপুর এবং দরগাডাংগা বাজারের আরো ২টি শত বছরের কড়াই ও তেঁতুল গাছ মোট ৪টি তাজা গাছ মরা ও ঝুকিপূর্বন বলে গোপনে মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করেন তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আবিদা সিফাত। এর মধ্য ভুমি অফিসের ভেতরের গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাংসদ ফারুক চৌধুরী দর্গাডাঙ্গায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে অমৃতপুর গ্রামের মেইন সড়কের শত বছরের তেতুল গাছটি কাটার সময় চোখে পড়ে সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর। সাথে সাথেই তিনি গাড়ি থেকে নেমে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়ে গাছ কাটার বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে মোবাইলে কথা বলেন।
এলাকাবাসী বলেন অমৃতপুর রাস্তার পাশে থাকা এই তেতুল গাছটি শত বছরেরও বেশী পুরোনো গাছ। তাজা এই গাছটি কখন কিভাবে টেন্ডার দেয়া হলো তারা কেউ জানেন না। গাছ কাটার সময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে ভুমি অফিস থেকে টেন্তাডারে নেয়ার কথা জানিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয়।
তারা বলেন, অমৃতপুর আজিজপুর ও দরগাডাংগা বাজারের যে তিনটি গাছ টেন্ডার দেওয়া হয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হবে। অথচ ঠিকাদারের টেন্ডারের অফিস কপিতে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা দেখে রীতিমতো অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী দাবি উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকার পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন প্রজাতির হাতে গোনা কয়েকটি তেঁতুল ও বটগাছ রয়েছে যা শতশত বছরের পুরোনো। এখনো সেই গাছ গুলো জীবিত রয়েছে। সেই গাছ গুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে তানোর সহকারী কমিশনার ভুমি আবিদা সিফাত বলেন, এলাকাবাসীর আবেদরের প্রেক্ষিতে গাছগুলো নিলামে বিক্রি করেছেন জানিয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তিনি। ।
উল্লেখ্য, সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বিক্ষরোপনে ও কৃষিতে জাতীয় পুস্কার পেয়েছেন।