
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর হত্যা মামলার মুলহোতাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
শনিবার ( ১৯ অক্টোবর ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া মো.রুহুল আমীন।
তিনি জানান, গত ১৩ অক্টোবর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যা করে বস্তায় ভরে ধানখেতে ফেলে রাখার ঘটনার মূলহোতা ঘাতকে গত ( ২০ অক্টোবর) বিকালে ঢাকার রূপনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ভিকটিম মৃত শাহীন এর মোবাইল ফোন চুরি করে ঘাতক মো. মো. সফি আলম (৩২) এই সূত্র ধরে ভিকটিম ঘটনার দিন গত ১৩ অক্টোবর ঘাতক সফির নিকট মোবাইল নেওয়ার জন্য গেলে সফি ভিকটিমকে নিয়ে পাশেই একটি সুপারি বাগানে যায় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হলে ঘাতক সফি ভিকটিমকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পাশের ধানখেতে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোজাখুজি করে ২ দিন পরে গত ১৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টায় ভূরুঙ্গামারীর কামাত আঙ্গারীয়া এলাকায় ধানখেতে বস্তার ভেতর দেখতে পায় এবং পুলিশে সংবাদ প্রদান করে। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন থানায় এজহার দাখিল করার পর গত ( ১৬ অক্টোবর) ভূরুঙ্গামারী থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথেই ভূরুঙ্গামারী থানার একটি চৌকস টিম অনুসন্ধান শুরু করে এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামী সনাক্ত ও আসামীর বর্তবান অবস্থান নিশ্চিত করে শুক্রবার ঢাকার রূপনগর থানা এলাকা থেকে ঘাতক মো. সফি আলম (৩২) কে গ্রেফতার করে ভূরুঙ্গামারী থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সফি মাদকাসক্ত এবং তার বিরুদ্ধে পূর্বের ১ টি মাদক মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারকৃত আসামী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। কুড়িগ্রামে কেউ অপরাধ করে পার পায়নি, আগামীতেও পাবেনা। নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম জেলায় সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে ও সম্মানিত নাগরিকদের টেকসই নিরাপত্তার নিমিত্তে সদা জাগ্রত কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
ডিআই/এসকে