
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাশের হাট বাজারে ২নং চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার সামনেই রয়েছে, চরবংশি জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাশাপাশি রয়েছে চরবংশী মোবারকিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
ঐ এলাকায় শিক্ষার্থীদের আদর্শ শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা হিসেবে ঐ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথেষ্ট হলেও ঐ বিদ্যালয়গুলোর কোল ঘেষে ৫শত গজের মধ্যেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নামে-বেনামে যত্রতত্র উঠানো হয়েছে আরও ৬ টি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল । ফলে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যত ছাত্রশূন্য হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
নামে বেনামে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলো হচ্ছে, চরবংশী বিদ্যানিকেতন, যার দূরত্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২শত গজেরও কম। ইউনাইটেড আইডিয়াল স্কুল, যার দূরত্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২শত থেকে ৩শত মিটারপর মধ্যে, চরবংশী ব্রাইট স্কুল, চরবংশী মডেল স্কুল, যার দূরত্ব হবে ৩শত থেকে ৪শত গজের মধ্যে। দারুন নাজাত একাডেমী, আল ইকরা একাডেমি, যার দূরত্ব ৪শত থেকে ৫শত মিটারের মধ্যে।
নামে-বেনামে যত্রতত্র গজিয়ে উঠা কিন্ডারগার্ডেনগুলোর জন্য অচিরেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চরবংশী মোবারকিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
শিক্ষার্থী শূন্য হওয়ার পথে রয়েছে ।
এক চরবংশি খাশের হাট বাজারের নামে-বেনামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস্তব চিত্র এটা। শুধু এখানেই শেষ নয়, লক্ষ্মীপুর জেলা জুড়ে রয়েছে এমন কয়েকশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে করে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী শুন্য হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিকাংশ শিক্ষক ও বিশিষ্টজনেরা।
কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, স্থানীয়ভাবে একটি ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মহল শিক্ষাকে পুঁজি করে ব্যবসার উদ্দেশ্য নামে-বেনামে কিন্ডারগার্ডেন স্কুল উঠিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে অভিভাবক সমাবেশ করে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন কোন লেখাপড়া হয়না বলে ভুলভাল বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের স্কুলে ভর্তি করছে। ফলে দিনদিন সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এভাবে কমতে থাকলে ভবিষ্যতে সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
তারা আরও বলেন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নামে-বেনামে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলো বন্ধের উদ্যোগ এক্ষুনি নেওয়া না হলে একদিকে শিক্ষার্থীরা সরকারি বাস্তবমূখী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষার্থী শূন্যের ঝুঁকিতে পড়ছে।
অপরদিকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলে না থাকলে ঐ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানা যায়। ফলে স্কুল বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
এবিষয়ে রায়পুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাঈনুল ইসলাম বলেন, ” কিন্ডার গার্ডেন স্কুল গুলোর জন্য নতুন নীতিমালা করা হয়েছে। স্কুলগুলো আবেদন করার পর সেগুলো মাঠপর্যায়ে ভিজিট করে যেগুলো নীতিমালার মধ্যে থাকবে না সেগুলো বাতিল করা হবে। ”