
মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার বটতলা বাজারে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ফেলে মালামাল লুট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৩ মে) সকাল ১০টায় কাঁঠালিয়া-আমুয়া সড়কের বটতলা বাজারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন সর্বস্তরের জনতা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন ভুক্তভোগী মো. হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম, ছেলে মেহেদী হাসান, পুত্রবধূ লাকী আক্তার, প্রতিবন্ধী মেয়ে শিরিন আক্তার, স্কুলছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া, ভাই আ. রহিম, জামাতা ইব্রাহিম ও আব্দুর শুক্কুরসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ঢাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আনইলবুনিয়া গ্রামের নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে (রাত ৪টায়) পুলিশ পরিচয়ে হারুন অর রশিদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা পরিবারের নারী ও কিশোর সদস্যদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে আটকে রাখে এবং বাড়ি থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫টি মোবাইল ফোন, নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমি-জমার গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র লুটে নেয়। এছাড়া হামলাকারীরা বসতঘরের পাশে অবস্থিত বটতলা বাজারের ছয়টি দোকানঘর গুড়িয়ে দেয় এবং সেখান থেকেও মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির দাবি, এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের করলেও চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। বক্তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তারা বলেন, “আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের সন্তানরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি, সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে।” এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে (রাত ৪টায়) আনইলবুনিয়া গ্রামের নাসির খান সারোয়ারের ভাড়াটি সন্ত্রাসী বাহিনী কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের আমুয়া – কাঠালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বটতলা বাজারের হারুন অর রশিদের পরিবারের সদস্যদের বেধেঁ অস্ত্রের মুখে লুটতরাজ চালিয়ে ৮ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল ও নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমা-জমির দলিলপত্র নিয়ে যায়। ঘরের বাহিরে থাকা অন্য সন্ত্রাসীরা বসতঘর সংলগ্ন বটতলা বাজারে ছয়টি দোকানঘর গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে দোকানের মালামাল ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ির প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।