একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে সেটিসহ আরও চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোর চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, সৈকত হোসেন (২০), মো. হুমায়ুন (২৯) ও মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে বাবু (২৬)।
গত ১ মে থেকে ৩ মে পর্যন্ত কুমিল্লা, লাকসাম, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার ও চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৩ মে) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ধানমন্ডি মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১ মে রাত রাতে ইফাজ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি তার সুজুকি জিক্সার-১৫০ সিসি (লাল-কালো রঙের, ঢাকা মেট্রো-ল ৩৩-১০৬৯) মোটরসাইকেলটি ধানমন্ডি লেক সংলগ্ন ৭/এ রোডের পার্কিংয়ে রেখে কাছের একটি চায়ের দোকানে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন তার মোটরসাইকেলটি নেই। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ধানমন্ডি থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। ঘটনাটি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধানমন্ডি থানার একটি টিম অভিযানে বের হয়।
অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ, লাকসাম এবং নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইফাজ আহমেদের চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ আরও চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাটখিলসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিল। ইফাজ আহমেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির ধানমন্ডি মডেল থানায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশের এই সাফল্য নগরবাসীর মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। সকল ধরনের অপরাধ দমনে ডিএমপির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডিআই/এসকে
