
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শুধু ধর্ষণই নয়, মামলা করার পর ওই নারীকে ও তার ছেলেকে খুন করে লাশ গুমের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু কাউছার আহমেদ।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল রাতে জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা নয়া পাড়ায় বিধবা এক নারীকে মুসা মিয়া ও তার দুই সহযোগী কামাল মিয়া ও হৃদয় মিয়া মিলে ওই বিধবা নারীকে ধর্ষণ করে। নারীর চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর ১০ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। আদালত নবীনগর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিলেও, অভিযোগ উঠেছে—মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নারীর ওপর শুরু হয় অবৈধ চাপ।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু কাউছার আহমেদ মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন। তার ভাষায়, “আমাকে ও আমার ছেলেকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এখন আমরা প্রাণ ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।”
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ এপ্রিল রাতে আবু কাউছারের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা আবু কাউছার আহমেদ বলেন,”ভাই, আমি বিচারক না। যদি তারা আমার বিচার মানে, আমি বিচার করে দিবো। না মানলে সেটা তাদের ব্যাপার। উভয় পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। তবে ধর্ষণের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আর আমি মামলা তুলে নেওয়ার কথাও বলিনি।”
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, “ঘটনাটি গুরুতর। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।”